সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগের কমিটি বাতিল করে নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠন করতে বলেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিধান অনুযায়ী ভিসি বরাবর এ কমিটি গঠনে সভাপতিসহ তিনজনের নাম প্রস্তাব করতে হবে। ভিসির অনুমোদনের পরে কমিটি চূড়ান্ত হবে।
তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহর কাছে এই অনুমোদন নিতে গিয়েই বাধছে বিপত্তি। সকালে একটা কমিটি অনুমোদন করে বিকেলে আবার সেটা বাতিল করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিকার পেতে প্রায় ২৫টি কলেজ হাইকোর্টে গেছে। শেরপুর ও বগুড়ার কয়েকটি কলেজের অধ্যক্ষ অ্যাডহক কমিটি গঠনের জন্য নাম প্রস্তাবের পর মাস খানেক গত হলেও মেলেনি কাঙ্ক্ষিত অনুমোদন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা। তাদের বেতন-ভাতা ও এমপিওভুক্তিসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ থমকে আছে।
ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অভিযোগ, তাদের পাশের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুমোদন মাত্র দুইদিনেই মিলেছে। তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিটির অনুমোদন ঠিক কি কারণে আটকে আছে, তা বুঝতে পারছেন না তারা। তবে প্রভাবশালী কেউ ফোন করলে সহজে অনুমোদন মিলছে বলেও জানিয়েছেন কেউ-কেউ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অধ্যক্ষ দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, ভিসি স্যার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন না। যার ফলে তার ধানমন্ডির অফিসে গিয়ে রোদে পুড়ে-বৃষ্টিতে ভিজে অপেক্ষা করি। কিন্তু কোনো সাড়া মেলে না। তিনি বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের সময় দিতে চান না। এ ব্যাপারে ভিসির পিএস আমিনুলের সঙ্গে দেখা করলে তিনি বলেন, আপনাদের এখানে ধরনা দেবার কোনো দরকার নেই। এমনিতেই হয়ে যাবে। কিন্তু অনুমোদন মেলে না।
এই শিক্ষকের ভাষ্য, ভিসির নতুন প্রোটোকল অফিসার একটি কাগজ ধরিয়ে বলেন, এখানে লিখে দিয়ে যান। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হয়ে যাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কমিটির আবেদন অনুমোদন হয়নি।
এ ব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহর মোবাইল নম্বরে কয়েকবার ফোন করলেও রিসিভ করেননি তিনি।