কুষ্টিয়ার মিরপুরের আমলা সরকারি কলেজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দীর্ঘদিন ধরে অশ্লীল পর্নো ভিডিওসহ ছবি পোস্ট করায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা চরম বিব্রত ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। প্রায় দেড় মাস আগে মিরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরিসহ পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সাহায্য চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
‘আমলা সরকারী কলেজ, মিরপুর, কুষ্টিয়া’ নামে ফেসবুক আইডিটি খুলে দেন কলেজের কম্পিউটার অপারেটর সোহাগ আলী। তিনি বলেন, ‘করোনাকালে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর জন্য স্যারদের অনুরোধে এই আইডি খোলা হয়।
গত ২১ জুন মিরপুর থানায় জিডি করেন কলেজের অফিস সহায়ক শিপন আলী। জিডি সূত্রে জানা যায়, ‘Payal Sonare and আমলা সরকারী কলেজ, মিরপুর কুষ্টিয়া’ Salman Fan Club, Shubham Bagde, Swaraj, Tembang Naglarasmn সহ এমন প্রায় এক ডজন আইডি থেকে এসব অশ্লীল ভিডিওসহ ছবি পোস্ট করা হচ্ছে।
বিষয়টির আইনগত মনিটরিং করছেন কলেজের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক অ্যাডভোকেট শামীম সোহাগ। তিনি বলেন, ‘মিরপুর থানা পুলিশ এই সমস্যার প্রযুক্তিগত সমাধানের সক্ষমতা না থাকায় কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এক্সপার্টদের শরণাপন্ন হই গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে। তারা দিনভর আমাকে বসিয়ে রেখে চেষ্টা করেও কোনো সমাধান করতে পারেনি।’
আইডির অ্যাডমিন আমলা সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক হাফিজুর রহমানের অভিযোগ, ‘উদ্ভূত সমস্যার পরিত্রাণ পেতে পুলিশের কাছে গিয়েও কোনো সমাধান দিতে পারেনি বা সমাধানযোগ্য সম্ভাব্য কোনো পরামর্শও পাইনি পুলিশের কাছ থেকে। সর্বশেষ বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, বিষয়টির রেগুলেটিং অথরিটি বিটিআরসি। তাই শেষ পর্যন্ত আমরা বিটিআরসিকে সামাধানের অনুরোধ করে পত্র দিয়েছি। বিটিআরসি দুই-এক দিনের মধ্যেই এর সমাধান করে দেবে বলে আমাদের জানিয়েছে।’
আমলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. বাদশা জাহাঙ্গীর বলেন, ‘হ্যাক হওয়ার বিষয়টি জানার পর মিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। পরে কুষ্টিয়া পুলিশের ক্রাইম ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ করেও এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষর্থী-অভিভাবকদের কাছ থেকে অনবরত ফোন কল ফেস করতে হচ্ছে। এতে কলেজেরও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’
মিরপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। বিষয়টি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।