পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ৩৪ নং সুবিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লিটন চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনা অমান্য করা ও এসএমসির সভাপতিকে হুমকি দেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
মামলার নোটিশ ও অভিযোগ গত ৩০ অক্টোবর পিরোজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে ওই শিক্ষককে দেয়ার জন্য কাউখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিবুর রহমান।
ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ লিয়াকত হোসেন গত ৪ অক্টোবর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর সহকারী শিক্ষক লিটন চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক লিটন চন্দ্র পাল স্কুলে যোগদানের কিছুদিন পর থেকেই নানা অনিয়ম ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। তিনি প্রধান শিক্ষকের আদেশ অনুসরণ না করে নিজের খেয়ালখুশি মতো চলেন। বিদ্যালয়ে দেরি করে আসেন এবং আগে চলে যান তার কোচিং সেন্টার পরিচালনার জন্য। নিয়মিত স্কুলে শিক্ষার্থীকে পাঠদান করান না, প্রধান শিক্ষকের অনুমতি ছাড়াই স্কুলে পাঠদানের সময় চায়ের দোকান কিংবা অন্যত্র ঘুরে বেড়ান। স্কুল ফাঁকি দিয়ে সাপ্তাহিক হাটের দিন সোমবার সঠিক সময়ে স্কুলে না গিয়ে সুপারি ব্যবসা করেন।
তিনি প্রধান শিক্ষক সম্পর্কে নানা অপপ্রচার করে এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করা হয়। এ ছাড়া তিনি নিজেকে নেতা দাবি করে প্রধান শিক্ষক ও এসএমসির সভাপতিকে হুমকি দেয়াসহ সকল নিয়ম কানুনের ঊর্ধ্বে থাকতে চান। তার উপরোক্ত কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণ এবং আমোল জোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে বিভাগীয় মামলা করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কুমারেশ চন্দ্র গাছি। সেইসঙ্গে কেন একই বিধিমালা মোতাবেক চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে না বা উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা হবে না তা পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শিক্ষক লিটন চন্দ্র পাল মামলার নোটিশের বিষয়টি স্বীকার করে তার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিবুর রহমান বলেন, শিক্ষক লিটন চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বিভাগীয় মামলার একটি নোটিশ ও অভিযোগনামার কপি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা মোতাবেক গত ৩১ অক্টোবর ওই শিক্ষককে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।