শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী ও সাহিত্যিক কাজী মোতাহার হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
কাজী মোতাহার হোসেনের পৈতৃক বাড়ি তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোয়ালন্দ মহকুমাধীন (বর্তমান রাজবাড়ি জেলার) পাংশা থানার ( বর্তমান পাংশা উপজেলার ) বাগমারা গ্রামে। তবে তার জন্ম কুষ্টিয়া (তখনকার নদীয়া) জেলার কুমারখালি থানার লক্ষ্মীপুর গ্রামে তার মামাবাড়িতে ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জুলাই। তার পিতা কাজী গওহরউদ্দীন আহমদ ছিলেন সেটেলমেন্টের আমিন। মায়ের নাম তাসিরুন্নেসা। শৈশব কাটিয়েছেন ফরিদপুরের বাগমারায়।
১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা কলেজ থেকে তিনি দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রথম হয়ে পদার্থবিজ্ঞানে অনার্সসহ বিএ এবং ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এমএ পাস করেন। পরে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত শাস্ত্রে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ‘পরীক্ষণ প্রকল্প’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে পরিসংখ্যানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে নিজ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাতত্ত্ব ও তথ্যগণিত বিষয়ে এমএ কোর্স চালু করেন। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি প্রফেসর পদে উন্নীত হন। ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে অবসর গ্রহণ করলেও ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি পরিসংখ্যান বিভাগের ‘সুপারনিউমারারি প্রফেসর’ হিসেবে বিভাগের সঙ্গে তার কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখেন।
১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। শিক্ষা-গবেষণা ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, স্বাধীনতা পুরস্কারসহ নানা পুরস্কারে ভূষিত হন।