হ্যাক নয়, বরং সিস্টেমের দুর্বলতার কারণে তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রোববার (৯ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
আরো পড়ুন : এনআইডি সার্ভার থেকে তথ্য ফাঁস হয়নি
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকারি কোনো ওয়েবসাইট হ্যাক হয়নি।
ওয়েবসাইটের দুর্বলতার কারণে যেকেউ ব্যক্তিগত তথ্য দেখার সুযোগ পেয়ে যান জানিয়ে তিনি বলেন, এই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।
এর আগে আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট থেকে দেশের লাখ লাখ নাগরিকের নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচিতি নম্বরসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার খবর আসে।
এ বিষয়ে সরকারের সাইবার ইস্যু দেখভালকারী প্রতিষ্ঠান বিজিডি-ইগভ সার্ট শনিবার (৮ জুলাই) সিচ্যুয়েশনাল অ্যালার্ট জারি করেছে। সার্ট বলছে, ডেটা সুরক্ষায় নিয়মিতই কাজ করছে তারা। সরকারের এই সংস্থা থেকে নিয়মিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন মাধ্যমে সাইবার মনিটরিং করা হয় এবং তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হয়। সার্ট বলছে, সম্প্রতি তথ্য ফাঁস ইস্যুতে কাজ করছে তারা।
দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মারকোপাওলোস দাবি করেন, বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট থেকে দেশের লাখ লাখ নাগরিকের নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচিতি নম্বরসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে।
তিনি বলেছেন, হঠাৎ করেই তিনি গত ২৭ জুন ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো দেখতে পান। এর কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি বাংলাদেশ সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (বিজিডি ই-গভ সার্ট) সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মারকোপাওলোসের ভাষ্যমতে, এ ঘটনায় বাংলাদেশের লাখ লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে।
এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ। তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়ে খবর প্রকাশ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ সংবাদমাধ্যমটি তথ্য ফাঁস হওয়ার খবরটির সত্যতা যাচাই করেছে বলে দাবি করেছে।