ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগন্জ ইউনিয়নের মাইনুদ্দিন মৎস্যঘাট এলাকা মেঘনা নদীতে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে ২৭ জন মাঝিমাল্লাসহ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। ২৬ জনকে জীবিত ও একজনকে মৃত উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আকস্মিক ঝড়ে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান পাটোয়ারী।
নিহত মোশারেফ হোসেন মসু উপজেলার শশীভূষণ থানাধীন হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত ছৈয়দ আহম্মেদের ছেলে।
জেলে ট্রলারের মাঝি খোরশেদ আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সোমবার রাতে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের মাইনুদ্দিন মৎস্য ঘাট থেকে মাছ শিকারের জন্য ট্রলারটি ছেড়ে যায়। ট্রলারে মোট ২৭ জন ছিলেন। ঘাট থেকে দুই কিলোমিটার যাওয়ার পর মেঘনা নদীতে ট্রলারটি হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে বাতাসের তোড়ে উল্টে যায়। এ সময় অপর জেলেরা মেঘনায় ছিটকে পড়লেও ট্রলারে আটকে যান মোশারেফ হোসেন। নদীতে থাকা সামরাজ ঘাটের কাদের মাঝির মাছ ধরা ট্রলার মেঘনায় ভাসমান জেলেদের উদ্ধার করে। এ সময় জেলে মোশারেফের সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে উদ্ধার হওয়া ট্রলার নিয়ে তীরে ফিরে এলে ট্রলারের কেবিনে আটকে থাকা জেলে মোশারেফের মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়।
শশীভূষণ থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মারুফ হোসেন মিনার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, নিহত জেলের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে নিহত জেলের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।