দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করার প্রতিবাদে রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দিয়েছেন আন্দোলনরত অটোরিকশাচালকরা। আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেন আন্দোলনকারীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান।
তিনি বলেন, কালশীতে আন্দোলনকারীরা সহিংস আন্দোলন করে। তারা কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ বক্সে আগুন দেয়। এটি ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স।
এর আগে অটোরিকশাচালকরা এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন এবং আগুন ধরিয়ে দেন। এছাড়া মিরপুর বেনারসি পল্লীর ৪ নম্বর সড়কে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে কয়েকটা গাড়িও ভাঙচুর করেন অটোরিকশা চালকরা।
দুপুর সোয়া একটার দিকে অটোরিকশা চালকরা কালশী সড়ক আটকে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেন। এতে ওই সড়ক ব্যবহারকারী হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। গন্তব্যে যেতে মানুষজনকে পায়ে হেঁটে রওনা দিতে হয়।
এর আগে মিরপুরের ১০ নম্বরে লাঠিসোটা হাতে বিক্ষোভে নামেন চালক ও ব্যবসায়ীরা। এ সময় কয়েকটি বাসে হামলার চালানোর পাশাপাশি বিক্ষুব্ধরা প্যাডেলচালিত রিকশাচালকদেরও মারধর করেন বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার জসিম উদ্দিন জানান। সকাল থেকে তারা মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চেষ্টা করেন।
উপকমিশনার জসিম উদ্দিন বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক ও এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেকে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর অবরোধ করে বাখেন। ফলে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশের সাম্প্রতিক অভিযানে কারণে তারা এরকম করছেন।
তিনি জানান, মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে জড়ো হওয়ার আগে বিক্ষোভকারীরা মিরপুরের কালশিসহ আরো কয়েকটি সড়কে বিক্ষোভে নামেন।
এ সময় তারা প্যাডেলচালিত রিকশা চালকদেরও মারধর করেন, কয়েকটি বাসে হামলা করেন। পরে তারা মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে এসে অবস্থান নেন।
ঢাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত কোনো রিকশা চলাচল করতে পারবে না বলে ঘোষণা আসে গত বুধবার। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেছিলেন, ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি যেনো ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চলতে যেনো না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিদ্যুৎচালিত তিন চাকার যানগুলো অটো, ইজিবাইকসহ নানা নামে পরিচিত। দুর্ঘটনার জন্য সড়কে মোটরবাইক ও ইজিবাইকের চলাচলকে দায়ী করেন তিনি।
বিআরটিএ ভবনে মন্ত্রীর সঙ্গে ওই সভায় ঢাকার দুই মেয়রও শহরের মধ্যে এসব ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধের বিষয়ে তাদের সম্মতি জানিয়েছিলেন।
এদিকে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহারের দাবিতে আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি দিয়েছে রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ।