দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: কিশোর অপরাধীদের সুস্থ পরিবেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় কিশোর গ্যাঙ সম্পর্কে তিনি বলেন, কেনো তারা এমন হচ্ছে। তাদেরকে সুস্থ পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। গণভবনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহারসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডগুলো কর্মকর্তারা।
এ সময় আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তার আগে তিনি বলেন, আমরা ছেলেমেয়েদের প্রযুক্তি শেখাচ্ছি। বিভিন্ন অ্যাপস তৈরি করে দিয়েছি। আমাদের প্রায় ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার আছে। তারা বিদেশি অর্থ উপার্জন করছে। ছেলেমেয়েরা যখন লেখপড়া শিখে উপার্জন করবে যখন অভিভাবকরাও লেখাপড়া শেখাতে উৎসাহিত হবে।
আরো পড়ুন: কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে
এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় যারা ফেল করেছেন তাদের সঙ্গে ভালো আচরণের পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ফেল করেছে তাদের মন খারাপ করার কিছু নেই। তারা যদি ভালোভাবে পড়াশোনা করে, তাহলে আগামীতে পাস করবে। অভিভাবকদের বলবো, যে ফেল করেছে তার মনেই তো কষ্ট। বাবা-মা তাকে কেনো আরো কষ্ট দেবে। মনের কষ্টে অনেক সময় তারা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। কেনো ফেল করলো, সেটা খুঁজে বের করে পড়াশোনায় মনোযোগী করাতে হবে। সবাইকে মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে।
আরো পড়ুন: দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে
রোববার সকাল দশটার পর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেয়া হয়। গণভবনে আয়োজিত হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহারসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডগুলো কর্মকর্তারা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছাড়া উন্নতি করা যায় না। এজন্য সরকার শিক্ষায় গুরুত্ব দেয়। আমরা শিক্ষায় যেটা ব্যয় করি সেটাকে বলি বিনিয়োগ। শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় মনোযোগী করা আমাদের সবসময় প্রচেষ্টা ছিলো। যাতে তারা মানুষের মতো মানুষ হয়।
তিনি বলেন, স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে। যদি কেউ ছড়িয়ে সিটে থাকে আমাদের দায়িত্ব তাদের লেখাপড়ার মধ্যে আনা। বিশ্ব পরিমণ্ডলে টিকে থাকার মতো শিক্ষা ব্যবস্থা আমরা প্রবর্তন করতে চাই। আ.লীগ ৯৬ খ্রিষ্টাব্দে সরকার গঠনের পর শিক্ষার নীতিমালা নতুন করে করি। আমরা সেটা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। সেটাকে সবার সঙ্গে মিলে সংশোধন, পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমনও সময় গেছে, যখন মাসের পর মাস চলে গেছে, রেজাল্ট হয়নি। এখন ৬০ দিনের মধ্যে রেজাল্ট হয়। আমরা মনে করি গত পনেরো বছরের মধ্যে আমদের বড় অর্জন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। আগে মাত্র ৫৪ শতাংশ ছাত্রী স্কুলে যেতো। এখন ৯৮ শতাংশ যায়। অধিকাংশ জেলাতেই এখন ছাত্রীর সংখ্যা বেশী। এটা খুশির খবর। আমরা নারী শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা বিনামূল্যে বই দিচ্ছি। বৃত্তি, উপবৃত্তি দিচ্ছি। এখন ক্লাস থেকে শুরু করে সবকিছু ডিজিটালি করা হয়। যাতে করে ছেলেমেয়েরা কোনোমতেই শিক্ষার বাইরে চলে যায় না।