দৈনিক শিক্ষাডটকম, কুবি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরে বাকবিতণ্ডার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাকির হোসেন সাতজন শিক্ষকের নামে সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এছাড়া আরো ১৫ থেকে ২০ জন অজ্ঞাতনামাকে অভিযুক্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার মোহাম্মদ জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়, দাপ্তরিক কাজে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পূর্ব অনুমতিক্রমে উপাচার্য কক্ষে গেলে ভেতরে অবস্থান করা শিক্ষকরা অফিসারদের এখানে কেন এসেছো বলে অশ্লীল গালাগালি ও মারমুখী ভঙ্গিতে শারীরিকভাবে নাজেহাল করেন এবং ধাক্কা দিয়ে জোর করে উপাচার্য মহোদয়ের কক্ষ থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন। তখন আমি বলি স্যার আমরা দাপ্তরিক কাজে ভিসি স্যারের কাছে এসেছি। আপনারা আমাদের সাথে এমন আচরণ কেন করছেন? পরবর্তীতে ভেতরে থাকা শিক্ষকবৃন্দ আমাদের দিকে তেড়ে এসে টানাহেচড়া করে উপাচার্য স্যারের কক্ষ থেকে আমাকে এবং আমার সাথে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন স্যারকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন। ভিসি স্যারের সাথে আমরা কথা বলতে চাইলে উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দ আমাদের সাথে আরো বেশি খারাপ আচরণ করেন। উপাচার্যের কক্ষে বিকট শব্দ ও হট্টগোল শুনে অন্যান্য অফিসারগণ ভিসি স্যারের রুমের সামনে আসেন। শিক্ষকবৃন্দ তাদের সাথেও খারাপ আচরণ করেন। পরবর্তীতে আমি ও আমার সিনিয়র অফিসারগণসহ প্রক্টরিয়াল বডি ও উপাচার্যের সহযোগিতায় কোনো রকমে আত্মরক্ষা করে বের হয়ে আসি। তখন ভেতরে থাকা শিক্ষকবৃন্দ আমাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। বর্তমানে আমি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অফিসারগণ আমাদের চাকরি ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
সাধারণ ডায়েরিতে মোট সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আরো পনেরো থেকে বিশজনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। জিডিতে উল্লেখিত নামগুলো হলো- বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ রাজু, ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক মো. কামরুল হাসান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের প্রভাষক আলীমুল রাজী।
জিডির বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, একটা অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ আমরা তদন্ত করছি।