কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ দেশের ২৬তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়(কুবি)। প্রতিষ্ঠার এ দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের নেতৃত্বে 'থিম সং' এবং সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।
রোববার বিকেলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি মোহাম্মদ এনামুল হল ও হাসেনা বেগমের সঞ্চালনায় ক্যাম্পাসের মুক্ত মঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান এবং সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম আকন্দ।
এছাড়া বিভিন্ন আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
‘থিম সং’ সূচনা করেন কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে গানটি গান। বিশ্ববিদ্যালয়ের এরকম ব্যতিক্রমী আয়োজনে উচ্ছ্বসিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম 'থিম সং' এক কথায় অনবদ্য ছিলো। সবচেয়ে আনন্দের ছিলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার 'থিম সং'এর সূচনা করেন।এই গানের মধ্যে ফুটিয়ে তুলেছে দেশের কথা এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, উপাচার্য স্যার এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পরে সময় নিয়ে একাডেমিক্স, এডমিনিস্ট্রেশন এবং অন্যান্য যে দিকগুলো আছে তিনি নজর দিয়েছেন। তার সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কী বিষয়গুলো অনুপস্থিত এবং পূরণ করা দরকার অনুধাবন করেছেন। একটি অঞ্চলের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক অন্যান্য যে বিষয়গুলো থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠান যদি সেখানে থাকে তার প্রায় সবগুলোই পূরণ করা সম্ভব।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বিশ্ববিদ্যালয়টির মিশন এবং ভিশন সম্পর্কে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে নেতৃস্থানীয় করার জন্য আমরা কিছু ভিশন নিয়েছি। আমরা এমন গ্রাজুয়েট উৎপাদন করতে চাই যারা পূর্ণভাবে সক্ষম হবে অবদান রাখতে মানবতাবাদকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এগিয়ে নিতে। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে আমাদের ট্যাগ লাইন হলো নেতৃত্বের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এটি এখন আর নতুন বিশ্ববিদ্যালয় নয়।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা সেক্টরে ১৭ বছর পার করে ফেলেছে। আমাদের এই ভিশনগুলো অর্জনের জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় সক্ষমতা অর্জনের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। গবেষণা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় এগোতে পারে না। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আমরা ভাইস চ্যান্সেলয় অ্যাওয়ার্ড দিয়েছি। তৃতীয় পদক্ষেপ হিসেবে আমরা এখানে স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের চূড়ান্ত ভিশন হলো শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করা।
'থিম সং' পরবর্তী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির সহশিক্ষামূলক সংগঠন অনুপ্রাস কন্ঠচর্চা কেন্দ্র, প্রতিবর্তন ও প্লাটফর্ম গান, আবৃত্তি, নাচ উপস্থাপন করেন।