কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগের নয়জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বহিষ্কারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষর করা আছে।
বহিষ্কার করা নেতা-কর্মীরা হলেন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শেখ সজিব, ফেরদৌস মাহমুদ, মীর আহসানুল হাসান, কর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক সিজান আহমেদ, মানবসম্পদ ও উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক অনিক আহম্মেদ, উপকৃষিবিষয়ক সম্পাদক আবদুর রাফি, সহসম্পাদক নাজমুস সাকিব, কুষ্টিয়া পৌর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক হাসিব কোরাইশী ও জেলা ছাত্রলীগের কর্মী জুয়েল আহমেদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে, শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় তাঁদের বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত ২২ নভেম্বর বেলা আড়াইটার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ ওরফে চ্যালেঞ্জকে তাঁর খালার বাসা থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ২৪ নভেম্বর গভীর রাতে হাফিজ বাদী হয়ে ছাত্রলীগের বেশির ভাগ নেতা-কর্মীসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ যে নয়জন নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করেছে, তাঁরা সবাই শেখ হাফিজের করা মামলার আসামি।
এ বিষয়ে গতকাল ১২টার পর হাসিব কোরাইশী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি পোস্ট করে লেখেন, ‘আমি ছাত্রলীগ করি না, আমি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের একজন কর্মী। আমি যে সংগঠন করি না, সেখান থেকে আমাকে বহিষ্কার করা কতটুকু যুক্তিসংগত আমার জানা নেই। অর্থনৈতিক লেনদেন এবং অনৈতিক কাজে সহযোগিতায় আপনারা (কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ) যে আছেন, সেটা বোঝা যাচ্ছে। যে মেয়েসহ ধরা পড়েছে, তাঁকে বহিষ্কার করেন। আমি আপনাদের এই সিদ্ধান্তের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জানার জন্য জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমানের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।