সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)।
সোমবার (১৫) বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, দেশের সচেতন সব মহলের মতো সাংবাদিক সমাজও মনে করে কোটা পদ্ধতির একটি যৌক্তিক সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। এই দাবিতে শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করছেন তাদের সঙ্গে সাংবাদিক সমাজের ভিন্নমত নেই।
তারা বলেন, সাংবাদিক হিসেবে গত কয়েক সপ্তাহের ঘটনাবলি পর্যবেক্ষণ শেষে আমাদের মন্তব্য হচ্ছে যে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার করার দাবিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন এই যৌক্তিক বিষয়টিকে পূর্ণতা দিতে আন্দোলনকারী, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করছি কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আন্দোলনের কোনো কোনো পর্যায়ে কেউ কেউ এমন আচরণ করছেন যা মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির প্রতিনিধিত্ব করছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এটি এই আন্দোলনের মূল সুর নয়। কিন্তু কোনো বিশেষ মহল এই আন্দোলনকে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির পক্ষে, বাংলাদেশবিরোধী বা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাবিরোধী পথে পরিচালনা করার চেষ্টা করছে কি না–এই প্রশ্নও এখন সামনে আসছে।
বিএফইউজে নেতারা বলেন, আন্দোলনকরারীদের কর্মসূচিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী সংবাদমাধ্যমবিরোধী স্লোগান এবং সংবাদকর্মীদের ওপর আক্রমণ এই ধারণাকে শক্ত ভিত্তি দিচ্ছে। আমরা এমনসব আচরণের নিন্দা জানাই।
তারা বলেন, এই প্রেক্ষাপটে সাংবাদিক সমাজ মনে করে, আন্দোলনকারীদের উচিত হবে আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ না বাড়িয়ে, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে সহায়তা করে কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিগুলোকে দৃঢ় আইনি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করা, যাতে ভবিষ্যতে এ নিয়ে আর জটিলতা সৃষ্টি না হয়।