হাইকোর্টের কোটা পুনর্বহালের রায়ে এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। বুধবার (১০ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক বলেন, ‘এই আদেশের ফলে সরকারি চাকরিতে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে যেভাবে নিয়োগ চলছে এখনও সেভাবেই হবে।’
মনজুরুল হক বলেন, আজকের এই রায়ের ফলে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত থাকবে। আদালত দ্রুত আন্দোলনকারীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার জন্য বলেছেন।
মনজুরুল হক বলেন, ‘সবার স্বার্থে স্থিতাবস্থা দেওয়া হয়েছে। আপিল বিভাগ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিলে তা সবাইকে মানতে হবে।’
আন্দোলন যারা করছেন তাঁদের ক্ষেত্রে আদালতের এই রায়ে কী মেসেজ যাবে এমন প্রশ্নে মনজুরুল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধার কোটা বহাল থাকবে না এখন। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে যে অবস্থা ছিল সেই অবস্থা থাকবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ ৪ অক্টোবর নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে সব ধরনের কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে। সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম গ্রেড (আগের ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেড (আগের ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওই পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো।
এই পরিপত্রের পরে মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাতজন হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। সে রুল যথাযথ ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট।