সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এবার শিক্ষকদের পাশাপাশি ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরাও।
ব্যাতিক্রম নেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েই। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্বা কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে এ ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছেন জবির শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ প্ল্যাটফর্মের আগামী কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এ ঘোষণা দিচ্ছেন তারা। আগামীকাল রোববার (৭ জুলাই) থেকে শিক্ষকেরা তাদের আন্দোলন শেষ করে যদি ক্লাসে যানও, তবে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরবেন না। সব ধরনের পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করবেন তারা।
শনিবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮টি বিভাগ এ ইনস্টিটিউটের শতাধিক ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণার খবর পাওয়া গেছে। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৪, ১৬, ১৭ ও ১৮তম ব্যাচ, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮তম ব্যাচ, আইন বিভাগের ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮তম ব্যাচ, মার্কেটিং বিভাগের ১৬, ১৭, ১৮তম ব্যাচ, দর্শন বিভাগের ১৭, ১৮তম ব্যাচ, সমাজকর্ম বিভাগের ১৫, ১৬, ১৭, ১৮তম ব্যাচ, আইইআর-এর ১৪, ১৬, ১৭ ও ১৮তম ব্যাচ, গণিত বিভাগের ১৬, ১৭, ১৮তম ব্যাচ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৫, ১৬, ১৭, ১৮তম ব্যাচ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ব্যাচ ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮তম ব্যাচ, আইএমএল ব্যাচ ১৪, ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮তম ব্যাচ, ইতিহাস বিভাগের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮তম ব্যাচ, পদার্থবিদ্যা বিভাগের ১৬, ১৭, ১৮তম ব্যাচ, লোক প্রশাসন বিভাগের ১৬, ১৭, ১৮তম ব্যাচ, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৬, ১৭ ও ১৮তম ব্যাচ, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যাবস্থাপনা বিভাগের ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮তম ব্যাচ, পরিসংখ্যান বিভাগের ১৬, ১৭, ১৮তম ব্যাচ এবং সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ১৬, ১৭, ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছেন ইংরেজি বিভাগের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮তম ব্যাচ, রসায়ন বিভাগের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮তম ব্যাচ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮তম ব্যাচ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ১৫, ১৬, ১৭, ১৮তম ব্যাচ, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ১৬, ১৭ ও ১৮তম ব্যাচ, অর্থনীতি বিভাগের ১৬, ১৮তম ব্যাচ, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ১৪, ১৮তম ব্যাচ, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ১৮তম ব্যাচ, মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১৬, ১৭, ১৮তম ব্যাচ, নাট্যকলা বিভাগের ১৮তম ব্যাচ, ফার্মেসী বিভাগের ১৮তম ব্যাচ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫, ১৬, ১৭, ১৮তম ব্যাচ এবং অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮তম ব্যাচ, ব্যাবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ১৬, ১৭ ও ১৮তম ব্যাচ, ফিন্যান্স বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।