সরকারি-বেসরকারি চাকরির সকল গ্রেডে সরাসরি নিয়োগের কোটা বিষয়ক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ গত রোববার এ বিষয়ক রায় দেয়ার তিন দিনের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ উপলক্ষে রাজধানীতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের গুলশানের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সদ্য প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন অনুসারে, সকাল চাকরির সকল গ্রেডে ৯৩ শতাংশ সাধারণ বা মেধাভিত্তিক ও ৭ শতাংশ সংরক্ষিত কোটায় নিয়োগ দেয়া হবে। সংরক্ষিত কোটার মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনার সন্তান, ১ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং ১ শতাংশ প্রতিন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য বরাদ্দ থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের কথা রেখেছি। প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। গেজেট নোটিফিকেশন প্রায় হয়ে গেছে। কোটা সংস্কারের যে রায় তা প্রতিপালন করেছি।
তিনি বলেন, আদালত বিচক্ষণ একটা রায় দিয়েছে। অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী। সরকারের এই রায়ের বিপক্ষে যাওয়ার ক্ষমতা নাই। আমাদের বিপক্ষে যাওয়ার অভিপ্রায়ও নেই। তাহলে আইনের শাসনে হাত দেয়া হয়। এটা আমরা করবো না।
এ সময় নারী কোটা নিয়ে সরকার কী ভাবছে জানতে চাইলে আইন মন্ত্রী বলেন, আদালতের রায়েই তো সব স্পষ্ট হয়ে গেছে। নারীরাই তো আন্দোলনে বলেছে, আমরা যথেষ্ট ক্ষমতাবান হয়ে গেছি। আমাদের কোটার দরকার নেই। আদালত সেটা শুনলে দোষ কি?
এ সময় সরকারেরে চার মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধীদের কমপ্লিট শাটডাউনের নাশকতা ও সরকারের করণীয় নিয়েও কথা বলেন।