ক্যামব্রিয়ান স্কুল ভবনেই মদের দোকান, অভিভাবকদের ক্ষোভ - দৈনিকশিক্ষা

ক্যামব্রিয়ান স্কুল ভবনেই মদের দোকান, অভিভাবকদের ক্ষোভ

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: আর জে টাওয়ার। ১১ তলাবিশিষ্ট আধুনিক একটি ভবন। বন্দরনগরী আশুগঞ্জের একটি পরিচিত নাম। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমানায় প্রবেশ করতেই আশুগঞ্জ গোলচত্বরে আর জে টাওয়ারের অবস্থান। আর ১১ তলা ওই ভবনের পুরোটা জুড়ে ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড আর ফেস্টুন। বাইরে থেকেই দেখা যায়, লিফটে করে শিক্ষার্থীরা নামছে। সম্প্রতি ক্যামব্রিয়ান অ্যাডুকেশন গ্রুপ ওই টাওয়ারটি কিনে নেয়।

চলতি বছর এখানে ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ তাদের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিল্ডিং এ থাকা পূর্বের মদের বারটি এখনো সরানো হয়নি। যাতে করে একই ভবনে পানশালা আর পাঠশালা থাকার বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। 

 

ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, পানশালা এখান থেকে সরে গেছে বলেই তারা জানতেন। কিন্তু এখনো আছে জেনে তারা অবাক হয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে অবগত করার পর তারা আশ্বস্ত করেছিলেন এটি দ্রুতই সরে যাবে। কিন্তু এখনো সরে না যাওয়ায় হতাশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আর জে টাওয়ারের নীচতলায় আর জে টাওয়ার হোটেল এন্ড রিসোর্ট নামে মদের বার এবং বাকিতলায় আবাসিক হোটেল ছিলো। সম্প্রতি ক্যামব্রিয়ান অ্যাডুকেশন গ্রুপ ওই টাওয়ারটি কিনে নেয়। চলতি বছর এখানে শিক্ষা ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজ তাদের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। তবে এখন পর্যন্ত মদের বারটি সরে না যাওয়ায় অভিভাবকসহ স্থানীয়দের মধ্যে প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

কয়েকজন অভিভাবক জানান, এ টাওয়ারে এখনো মদের বার রয়েছে, যা শিশুদের মানসিকতার ব্যাপক প্রভাব পড়বে। এটা সরিয়ে দেয়া উচিত। পৃথিবীর কোথাও একই ভবনে স্কুল আর মদের বার থাকার নজির আছে বলে আমাদের জানা নেই।

আর জে টাওয়ার হোটেল এন্ড রিসোর্টের সহকারি ব্যবস্থাপক মো. শিহাব বলেন, এখান থেকে বারটি শিগগিরই সরিয়ে নেয়া হবে। এটি সরিয়ে নিতে আবেদন করাসহ কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। তবে এখনো সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এখানে বিকেল চারটার পর থেকে মদ বিক্রি হয়। এ সময় স্কুলের কোনো কার্যক্রম থাকে না।

ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা ফারুক আহমেদ বলেন, বিষয়টি (মদের বার থাকা) আমাদের জন্য পেইনফুল। আমরাও চাই এটি এখান থেকে দ্রুত সরিয়ে নেয়া হোক। একটি স্কুলের ভবনেই মদের বার থাকার বিষয়টি একদমই যায় না। তিনি বলেন, আগের মালিক থেকে ভবনটি কিনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হলেও রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কাজ শেষ হয়নি। যে কারণে আমাদের পক্ষ থেকে বার কর্তৃপক্ষকে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আগের মালিক জানিয়েছেন তিনি এটা সরিয়ে নিতে বলেছেন।

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শ্যামল চন্দ্র বসাক জানান, ভবন মালিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। মদের বারটি মার্চের মধ্যেই চলে যাবে। যদি ওরা মার্চের মধ্যে না যাই। তাহলে আমরা এটি সরিয়ে দিব।

সূত্র: চ্যানেল টুয়েন্টিফোর

 

চট্টগ্রামে সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ নিহত ২ - dainik shiksha চট্টগ্রামে সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ নিহত ২ ঢামেকে একজনের মৃত্যু - dainik shiksha ঢামেকে একজনের মৃত্যু জবির কোটা আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ৪ - dainik shiksha জবির কোটা আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ৪ বেরোবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০০ - dainik shiksha বেরোবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০০ শহীদ মিনার এলাকায় অধ্যাপককে মারধর - dainik shiksha শহীদ মিনার এলাকায় অধ্যাপককে মারধর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী সময়মতো যথাযথ অ্যাকশন নেয়া হবে : কাদের - dainik shiksha সময়মতো যথাযথ অ্যাকশন নেয়া হবে : কাদের সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই: ঢাবি উপাচার্য - dainik shiksha সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই: ঢাবি উপাচার্য যারা নিজেদের রাজাকার বলেছে তাদের শেষ দেখে ছাড়বো - dainik shiksha যারা নিজেদের রাজাকার বলেছে তাদের শেষ দেখে ছাড়বো সায়েন্সল্যাবে কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ - dainik shiksha সায়েন্সল্যাবে কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে - dainik shiksha র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035209655761719