দৈনিক শিক্ষাডটকম, ভোলা: ক্লাস বন্ধ রেখে শ্রেণি কক্ষে নির্বাচনী আচরণবিধি অমান্য করে আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. জাকির হোসেনের পক্ষে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মনির হোসেনের বিরুদ্ধে। তিনি ভোলার সাকুচিয়া আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। আর তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন মনপুরা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহরিয়ার চৌধুরী।
শাহরিয়ার চৌধুরী অভিযোগ করেন, তার প্রতিপক্ষ আনারস মার্কার চেয়াম্যানপ্রার্থী মো. জাকির হোসেনের পক্ষে উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের সাকুচিয়া আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মনির হোসেনের সভপতিত্বে গত ২৬ মে সকালে একটি নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কলেজে উপস্থিত থাকা শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জানা যায়, সকাল থেকেই ক্লাসের কার্যক্রম বন্ধ করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নির্দেশে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের একটি ভিন্ন অনুষ্ঠানের কথা বলে আনারস মার্কার লিফলেট বিতরণ করেন।
অনেক শিক্ষার্থী বের হয়ে আসতে চাওয়ায় উপস্থিত শিক্ষক ও কর্মচারী এবং আনারস মার্কার ক্যাডাররা তাদেরকে হুমকি দেন। সভায় আনারস মার্কার প্রার্থী মো. জাকির হোসেনের আপন ছোট ভাই মো. ছিদ্দিকুর রহমান আনারস মার্কার পক্ষে ভোট চান।
ছিদ্দিক তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা এই কলেজ করেছি, সবাইকে আমরা চাকরি দিয়েছি, যদি আনারস মার্কায় ভোট না দেও কারো চাকরি থাকবে না।’
ছিদ্দিক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা বাড়ি গিয়ে আনারসের ভোট চাইবে, তা নাহলে ঠিক মতো কলেজে আসতে পারবা না।’
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনির শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের অভিভাবকের ভোট আনারস মার্কার পক্ষে চেয়ে বলেন, তোমাদের মা-বাবা জাকির ভাইয়ের আনারস মার্কায় ভোট না দিলে অনেক ক্ষতি হবে, কারণ সে আমাদের সবাইকে চাকরি দিয়েছে। কলেজের ওই আনারস মার্কার প্রচারণার অনুষ্ঠানে সব শিক্ষক ও কর্মচারীরা আনারস মার্কার ভোট চেয়ে বক্তব্য দেন। এছাড়াও কলেজের অধ্যক্ষসহ সব শিক্ষক- কর্মচারী নির্বাচনী সভায় অংশ নেন, যা আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন। যারা সভায় অংশ নিয়েছেন তাদেরকে নিবার্চনের কোনো দায়িত্ব না দেয়ার আবেদন করেন প্রার্থী শাহরিয়ার চৌধুরী।
তিনি জানান, কলেজে নির্বাচনী সভার ভিডিয়ো ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং আমার কাছেও সংরক্ষিত আছে। প্রশাসন চাইলে আমি তা সরবরাহ করতে পারবো। এ ঘটনায় অবিলম্বে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আবেদন জানান তিনি।