দেশে চলমান অস্তিতিশীল পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে তৈরি পোষাকশিল্প। এক দিকে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে, অন্যদিকে উৎপাদিত পন্য রপ্তানি করা যাচ্ছে না। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় প্রায় স্থবির রপ্তানি কার্যক্রম। প্রতিদিন চট্রগ্রাম বন্দর দিয়ে শত কোটি টাকার পন্য রপ্তানি হয়। কিন্তু চলমান অস্থিরতায় তা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় চট্রগ্রামে গতকাল মঙ্গলবার কিছু গার্মেন্ট কারখানা খোলা রাখা হয়।
প্রতিদিন বন্দরের বিভিন্ন গেট দিয়ে ৭-৮ হাজারের মতো ট্রাক পণ্য আনা নেয়ার জন্য ঢুকলেও গত বেশ কয়েকদিন ধরে সেই চিত্র আর নেই।
বিজিএমইএ সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, গার্মেন্ট শিল্পের অবস্থা খুবই খারাপ। বিল অব এক্সপোর্ট এবং বিল অব ইমপোর্ট কিছুই দাখিল করা যাচ্ছে না। ইন্টারনেট না থাকায় পূর্ণাঙ্গ ক্ষতি নিরূপন এখনই সম্ভব হচ্ছে না। দেশের গার্মেন্ট শিল্পের বার্ষিক রপ্তানি ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই হিসেবে গত ছয় দিনে কতো কোটি টাকার পণ্য শিপমেন্ট করা যায়নি তা অনুমান করা যায়।
পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সংশ্লিষ্ট সূএ জানায়, জিডিপিতে এই শিল্পের অবদান ১১ শতাংশ। আর রপ্তানি আয়ে ৮১ শতাংশ। পোশাক শিল্পে ৪০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে। দেশের ৫ কোটি মানুষ কোনো না কোনোভাবে এ শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে এ খাত থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি সম্ভব হতে পারে বলে মনে করেন এ শিল্পের উদ্যোক্তারা।
রপ্তানির অপেক্ষায় বর্তমানে ৫ হাজারের মতো কনটেইনার রয়েছে ডিপোগুলোতে। নগরীতে সীমিত পরিসরে কিছু গার্মেন্ট গতকাল খোলা রাখার অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন। বিজিএমইএ নেতাদের সংঙ্গে গত সোমবার বিকালে জেলা প্রশাসকের পৃথক এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। যেহেতু দেশে কারফিউ চলমান, তাই শ্রমিকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে নির্বিঘ্নে কারখানায় আসতে পারেন।