বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ধর্মীয় সম্প্রীতি আরও মজবুত করতে উদ্যোগী হবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, কোনো ফরমে কারো ধর্ম শনাক্ত করতে যে অপশন থাকে তা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি। দেশের মানুষের একটাই পরিচয় তারা বাংলাদেশি। কে কোন ধর্মের সেটি বড় কথা নয়।
শনিবার বিকেলে নরসিংদী-২ (পলাশ) নির্বাচনী এলাকার রাবান উচ্চ বিদ্যালয় দুর্গামন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন তিনি। কেউ যেন রাজনীতিকে কলুষিত করতে না পারে সে জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।
মঈন খান বলেন, ‘আমি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করি না আপনারা জানেন। কিন্তু যদি ভবিষ্যতে জনগণ আমার দলকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয় আমি একটি কাজ করব.. চেষ্টা করব.. অথচ আমি জানি না ততদিন আমি বেঁচে থাকব কিনা। কিন্তু এটা আমার ইচ্ছা। বাংলাদেশের কোনো ফরম, আমরা তো ফরম ফিলাপ করি.. করি না.. বাংলাদেশে কোনো ফরমে যেন এই প্রশ্ন না থাকে, কে কোন ধর্মাবলম্বী। আমি চাই সেই কলাম থেকে, সেই সিরিয়াল থেকে সেই প্রশ্নটি বাদ দেওয়া হোক। আমরা বাংলাদেশি, আমরা একজন মানুষ সেটাই কি আমাদের যথেষ্ট পরিচয় নয়। আমি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ না খ্রিষ্টান সেটা তো কোনোদিন মানুষের পরিচয় হতে পারে না।’
মঈন খান বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমি ন্যায়নীতিতে বিশ্বাসী। আমি যেটা সঠিক মনে করি আমি সেটাই বলি। কে কি পছন্দ করল.. কী বলল না বলল এতে আমার কিছু যায় আসে না। তার কারণ আমি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করি না।’
ছাত্র-জনতাকে ধন্যবাদ দিয়ে মঈন খান বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশ থেকে অন্যায় প্রতিরোধ করা হয়েছে, ছাত্র-জনতা বাংলাদেশে স্বাধীনতা ফের প্রতিষ্ঠিত করেছে।
জিনারদী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নারায়ণ চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এরফান আলী, যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন ভূইয়া মিল্টন, রাবান দুর্গামন্দির কমিটির সভাপতি জাদব কর, সাবেক ইউপি মেম্বার যানকি বসুসহ দলের বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা।