বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামির বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার চার্জগঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩ ডিসেম্বর ধার্য করেছে আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কেরানীগঞ্জে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আক্তারুজ্জামান এই তারিখ ধার্য করেন।
এদিন মামলাটির চার্জ শুনানির দিন ছিলো। তবে এই মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারপক্ষে এদিন সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ হাজিরা দেন। একই সঙ্গে চার্জ শুনানি পেছানোর আবেদন করেন তিনি। এ ছাড়া আসামি মাইনুল আহসানের পক্ষে তার আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামল অব্যাহতির বিষয়ে শুনানি শেষ করেন। তাদের শুনানি শেষে আদালত আগামী ৩ ডিসেম্বর চার্জ শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।
২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।
কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।