জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে আহত ৭ জনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে তুরস্ক সরকার। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে এ দায়িত্ব নিলো তারা।
রবিবার (৩ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ ও সিআইএস শাখার মহাপরিচালক মো. আবুল হাসান মৃধা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আবুল হাসান মৃধা বলেন, তুরস্ক সম্প্রতি আমাদের কাছে এটি নিশ্চিত করেছে। এই উদার সিদ্ধান্ত এটাই প্রমাণ করে যে, তুর্কি সরকার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে রয়েছে।
তিনি বলেন, তুরস্ক সরকার বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে রাজি হয়েছে। এখন কোন ৭ জন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য বেছে নেয়া হবে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সে ব্যাপারে দেশটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি আরো বলেন, এই সহযোগিতা বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের প্রতিফলন। বিশেষ করে ক্রান্তিকালে বাংলাদেশের বর্তমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে তুর্কি সরকারের সহায়তার এটি একটি উদারহরণ।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেসময় পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাতকালে আন্দোলনে আহতদের উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে আলোচনা হয়।
২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ আগস্ট তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোন আলাপ করেন। সেসময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগে সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্ক সরকারের একটি প্রতিনিধি দল সহযোগিতার ক্ষেত্র অনুসন্ধান করতে ১৩ থেকে ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করে। প্রতিনিধি দলটি নির্বাচন ব্যবস্থা, আর্থিক খাত এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য সম্ভাব্য তুরস্কের সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে।