বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা শুরু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে শুক্রবার এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন ব্যক্তিবর্গের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং সরকারদলীয় ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরাও থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার জানান, সরকারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি এদের পরিবারের সদস্যরাও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে পারেন। এই নীতির আওতায়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত করার কাজে যুক্ত ব্যক্তিরা আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার অযোগ্যও বিবেচিত হতে পারেন।
মিলার জানান, সরকারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, সরকারদল ও বিরোধীদলের নেতাকর্মী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীতে নিয়োজিতরাও এর আওতাধীন।
ম্যাথু মিলার বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্নে সহযোগিতায় বদ্ধপরিকর।’
ম্যাথু মিলার আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে এবং বিশ্বব্যাপী অগ্রসর গণতন্ত্রকামীদের জন্য আমাদের আজকের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক সহযোগিতা কার্যক্রমের অংশ।’
এর আগে গত ২৭ মে বাংলাদেশের উদ্দেশে ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করলে সেই ব্যক্তি ও তার পরিবারের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয় সেসময়। ওই ভিসা নীতি যে কোনো বাংলাদেশির ওপর কার্যকরের কথা বলা হলেও বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারপন্থি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির কথা উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এবার তা শুরুর কথা জানানো হলো।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতিকে সহায়তা করতে এ ভিসা নীতির ঘোষণা বলেও জানিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
এর আগে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে র্যাব এবং এর সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।