গণপরিবহনে যৌন হয়রানি বন্ধে বাসচালকদের জন্য নতুন পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ঢাকা মহানগর কমিটি আয়োজিত এক সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
সড়ক সচিব বলেন, এই নতুন পাঠ্যক্রমে গাড়ি চালানোর মৌলিক শিক্ষার পাশাপাশি সৌজন্য, শিষ্টাচার, ভদ্রতা ও আচরণবিধি শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়াও বাসে হয়রানির শিকার নারীদের সহায়তা দিতে প্রত্যেক স্টপেজে সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।
নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, গাড়িচালকদের গাড়ি চালানো শিক্ষার পাশাপাশি মানবিক শিক্ষাও দিতে হবে। তাদের মানবিক শিক্ষার অভাব রয়েছে বলেই তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়।
পরিষদের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মাহাতাবুন নেসার সভাপতিত্বে সংগঠনের মহানগর শাখার লিগ্যাল এইড সম্পাদক শামীমা আফরোজ আইরিনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন রেহানা ইউনুস।
মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন আন্দোলন সম্পাদক জুয়েলা জেবুননেসা খান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. ফৌজিয়া মোসলেম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত, বিআরটিএর পরিচালক (অপারেশন) মো. লোকমান হোসেন, শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষ এবং সাংবাদিক নাদিয়া শারমিন।
আয়োজক সংগঠনের উপস্থাপিত বক্তব্যে গণপরিবহন ও গণপরিসরে সংঘটিত নারীর প্রতি যৌন হয়রানি ও সহিংসতার চিত্র তুলে ধরা হয়। বলা হয়, বাস, লঞ্চ, ট্রেন এবং অন্যান্য যানবাহন, টার্মিনালসহ গণপরিবহনে ৩৬ শতাংশ নারী নিয়মিত যৌন হয়রানির শিকার হন।
এ ছাড়া গণপরিসরে ৮৭ শতাংশ নারী জীবনে অন্তত একবার যৌন সহিংসতার শিকার হন। আর ৬৬ শতাংশ নারী কয়েকবার এবং ৭ শতাংশ নারী বারবার নানা ধরনের যৌন হয়রানির শিকার হন। তবে হয়রানির শিকার ৩৬ শতাংশ নারী প্রতিবাদ করেছেন বলে অনলাইনে পরিচালিত জরিপে উঠে এসেছে।