আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানকে সম্মানজনক পর্যায়ে উন্নীত করার জন্য গবেষণাকর্মকে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে যথাযথভাবে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। তিনি শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি এ আহ্বান জানান।
গতকাল মঙ্গলবার উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনার গবেষণা ফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্রোমোজোম রিসার্চ সেন্টারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ৩টি গবেষণাকর্মের ফল উপস্থাপন করা হয়েছে।
এ সময় উপাচার্য বলেন, গবেষকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পঠন-পাঠনের পাশাপাশি মৌলিক গবেষণাকর্ম পরিচালনা করা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও সীমিত বাজেটের মধ্যে আমাদের শিক্ষকরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে এই কাজটি করে চলেছেন। যুগোপযোগী গবেষণাকর্মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে সমৃদ্ধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে গবেষণাকেন্দ্রগুলোকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
ক্রোমোজোম রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান এবং প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. শাকিলা নার্গিস খান, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. কিশোয়ার জাহান সিঁথি এবং জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবিরা খান নিজ-নিজ গবেষণাকর্মের ফলাফল উপস্থাপন করেন। সেমিনারে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা ধন্যবাদ জানান।
অধ্যাপক ড. শাকিলা নার্গিস খান রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব উপায়ে জীবাণু থেকে উৎপন্ন টক্সিনের সাহায্যে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে গবেষণা করেন। উৎপন্ন এই টক্সিন ৬-৮ ঘন্টার মধ্যে এডিস মশার লার্ভা নিধন করতে সক্ষম। এটি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে গবেষক আশা প্রকাশ করেন।
ড. কিশোয়ার জাহান সিঁথি জিঙ্ক-ফর্টিফাইড ধানের প্রজাতির উপর জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন। ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে এই গবেষণাকর্ম সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আবিরা খান অটোইমিইন রোগসমূহের জিনগত কার্যকরণ অনুসন্ধানে গবেষণা করেন। হাশিমোটো থাইরয়েডাইটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে এই গবেষণাকর্ম ভূমিকা রাখবে বলে গবেষক প্রত্যাশা করেন।