গ্রীষ্মের তীব্র রোদে পুড়ছে সারা দেশ। অসহনীয় গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। বাতাসের আদ্রতা কমায় ঘরে-বাইরে কোথাও মিলছে না স্বস্তি। শনিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫৮ বছরের রেকর্ড ভেঙে ওঠে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই গরমের যন্ত্রণা থেকে শিগগিরই রেহাই মিলবে না, জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আরও বাড়তে পারে ঢাকার তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দের ঢাকায় তাপমাত্রা উঠেছিলো ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এরপর ২০১৪ সালে রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি। সেই হিসেবে ৫৮ বছরের মধ্যে ঢাকায় এটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঢাকার তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, ফরিদপুর এবং পটুয়াখালীর ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ জেলায় বইছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। যেখানে তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠানামা করছে।
এপ্রিল ও মে মাস এমনিতেই বছরের উষ্ণতম মাস। এ সময় বাংলাদেশে সূর্য তাপ দেয় খাড়াভাবে। ফলে গরম থাকে বেশি। তবে এই সময়টায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে, তা দেখা যায় না সচরাচর।
কেন এবার এত তাপ? এমন প্রশ্নে আবহাওয়াবিদ শরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, “এই সময়ে যে উত্তাপটা থাকে, বৃষ্টি হলে কমে যায় সেটা। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে, ৪ তারিখের পর থেকে, আমাদের গোটা দেশে বৃষ্টিপাত অনেক কম, শূন্য বললেই চলে। হিট ওয়েভের পরিস্থিতিটি এ কারণে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
এদিকে অপ্রত্যাশিত এই গরমে রোজার মধ্যে জনজীবনে নাভিঃশ্বাস উঠেছে। চড়া রোদে পুড়ছে সারা দেশ, ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ সবাই। সড়কে বা ঘরে কোথাও স্বস্তি নেই। বাতাসের আদ্রতা কম হওয়ায় জ্বালাপোড়া করছে শরীর। প্রকৃতির এই বৈরিতায় বিপর্যস্ত খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা। পানি শূন্যতায় ভূগছে অনেকে।