তীব্র গরমে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে গত কয়েকদিন ধরে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছে এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া ও দিনমজুর মানুষজন।
বুধবার বেলা ১২টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা মৃদু তাপপ্রবাহের কাছাকাছি বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিস। এর আগে সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল মৃদু তাপপ্রবাহ।
এদিকে এই রোদের মধ্যে ঘাম ঝড়ানো তাপমাত্রায় দিনমজুর, রিকশাচালক, অটোরিকশা চালক, ঘোড়ার গাড়ি চালক ও ভ্যান চালকরা পড়েছেন বিপাকে। রোদ ও গরমে জীবন-জীবিকা নির্বাহের তাগিদে মাঠে কাজ করছেন তারা। অনেকে রোজা রেখেই কষ্টের কাজ করছেন। যদিও রোদ ও তীব্র গরমে খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না মানুষজন। অনেকে রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ও গামছা ব্যবহার করছেন।
থানাহাট ইউনিয়নের থানা পাড়া এলাকার জয়নাল মিয়া নামের একজন ভ্যানচালক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কয়েকদিন থেকে এতো রোদ ও গরম পড়ছে, আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। ঠিকমতো গাড়ি চালাতে পারছি না। গাড়ি চালানোর সময় মনে হয় জীবন বের হয়ে যায়। মনে হয় গরমের কারণে ভাড়া কম, তাতে আবার রমজান মাস।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সবুর হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এই মুহূর্তে বৃষ্টিপাতের কোনো পূর্বাভাস নেই।
চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প. প. কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, চিলমারীতে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও এখনো হাসপাতালে রোগীর চাপ স্বাভাবিক রয়েছে। এই গরমে শিশুদের বাবা-মাকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি। বিশেষ করে তারা যেন বাইরের কোনো খাবার বাচ্চাদের না খাওয়ান। গরমে বাচ্চাদের গা ঘেমে গেলে মুছিয়ে দিতে হবে। খাবার সব সময় ঢেকে রাখতে হবে। যদি কখনো কোনো সমস্যা হয় যেমন- সর্দি ও কাশি হয়, তাহলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসবে।