গরমে একটু আরামে রান্নাবান্নার জন্য কৌশলী হওয়া দরকার। এই সময়ে স্বস্তিতে রান্নার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী নাদিয়া নাতাশা। লিখেছেন মোনালিসা মেহরিন
প্রচণ্ড গরমে রান্নাঘরে ঢোকাই দায়। বাইরে রোদের গরম, ভেতরে তপ্ত উনুন। তাই এই সময়টায় রান্না করা বেশ কষ্টদায়ক। দীর্ঘক্ষণ চুলার পাশে দাঁড়িয়ে থেকে রান্না করলে ক্লান্তি চেপে বসে শরীরে।
গরমে ঘেমে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হতে পারে। অসুস্থতা নিয়ে এই গরমে রান্না করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বলে তো রান্না করা বন্ধ করা যাবে না। তবে গরমে আরামে রান্নারও উপায় আছে।
কিছু টিপস মেনে চললে অল্প সময়ে সহজেই সারতে পারবেন রান্নাবান্না।
এই সময়টায় দুপুরে রান্না করা থেকে বিরত থাকুন। ভোরে একটু ঠাণ্ডা ভাব থাকতে থাকতে রান্না সেরে ফেলতে পারেন। বিকেলের পর তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসে।
সকালে সম্ভব না হলে তখন রান্না করতে পারেন। সব কাজ রান্নাঘরে করবেন না। কোটাবাছা থেকে শুরু করে যেসব কাজ ড্রয়িং, ডাইনিং, লিভিং বা বারান্দায় করা যায় সেসব কাজ এখানে করতে পারেন। এসব স্থানে রান্নাঘরের চেয়ে তাপ কম থাকে। পাশাপাশি কোন বেলায় কী খাবার রান্না করতে চান, আগে থেকে ঠিক করে রাখুন।
গরমে বেশি পদের আয়োজন করা থেকে বিরত থাকুন। এতে রান্নাঘরে বেশি সময় থাকতে হবে না।
সকালে রান্না করলে আগের রাতে শাক-সবজি কেটে রাখতে পারেন। এতে রান্না করতে লাগবে সময় কম। সুবিধাজনক সময়ে মাছ, মাংস, মসলা ইত্যাদি রসদ গুছিয়ে রাখতে পারেন। রান্নাঘরের বাতাস বের হওয়ার ব্যবস্থা রাখুন। দরজা-জানালা খোলা রাখবেন। রান্নাঘরের দরজায় বা সুবিধাজনক জায়গায় গাছ রাখতে পারেন। রান্নাঘরে অবশ্যই এগজস্ট ফ্যান ব্যবহার করবেন।
রান্নাঘরে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিতে পারেন। প্রেশারকুকার ব্যবহার করুন। অল্প সময়েই খাবার সিদ্ধ হবে। ভাত রাঁধতে রাইসকুকার ব্যবহার করতে পারেন। স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাত রান্না হয়ে যাবে। রান্না করার সময় আরামদায়ক সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরে রান্না করুন। বেশি সময় লাগে এমন জাতীয় পদ গরমে রান্না করা থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন সবার আগে সুস্থতা।
রান্নার সময় লেবুপানি পান করতে পারেন। রান্নার ফাঁকে ফাঁকে এসি বা ফ্যানের নিচে বসে বিশ্রাম নিতে ভুলবেন না। বাজারে ত্বকের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক পাওয়া যায়। চুলার কাছে যাওয়ার আগে এই প্যাক লাগিয়ে নিলে ত্বকে গরম তাপ অনেকটা কম লাগবে। চুল আরামদায়কভাবে বেঁধে নিন। এতেও গরম কম লাগবে।