দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব আমরা প্রতিনিয়ত অনুভব করছি। প্রতিবছরই তাপমাত্রা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। প্রচণ্ড গরমে শিক্ষার্থীদের নানা রকম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মানবদেহের প্রায় ৭৫ শতাংশ পানি এবং এর মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ২.৫ শতাংশ পানি ঘাম ও প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরো জানা যায়, শরীরের পানির ভারসাম্য রক্ষায় প্রতিদিন ২-২.৫ লিটার পানি পানের প্রয়োজন। তীব্র গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বিভিন্ন খনিজ লবণ ও ৩.৫-৪ শতাংশ পর্যন্ত পানি বেরিয়ে যায় এবং শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে। পানিশূন্যতার ফলে দুর্বলতা, মাথা ঘোরানো, মাথাব্যথা, গলা শুকিয়ে যাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা, অচেতন হয়ে পড়া, বুক ধড়ফড় করা, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, প্রস্রাব গাঢ় হলুদ হয়ে যাওয়ার মতো বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়।
একইসঙ্গে তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতাও বাড়ে। পানিশূন্যতা ও হিট স্ট্রোকের বিভিন্ন উপসর্গ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিত্সার ব্যবস্থা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত সুপেয় পানির ব্যবস্থা অবশ্যই থাকতে হবে। সঠিক নিয়মে খাবার স্যালাইন তৈরির বিষয়েও সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে, অন্যথায় সেটা বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। পানিশূন্যতা ও হিট স্ট্রোকের কারণ, উপসর্গ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ সমপর্কে শিক্ষকগণ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের অবহিত করবেন। গরমে দৈনিক ৩.৫-৪ লিটার পানি পান ও বিভিন্ন রসালো ফল খাওয়ার উপকারিতা এবং খোলা, বাসি খাবার না-খাওয়া সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের উত্সাহিত করা।
বাসা থেকে বের হওয়ার সময় অভিভাবকদের উচিত সন্তানের ব্যাগে বিশুদ্ধ পানির বোতল দিয়ে দেওয়া যাতে কিছুক্ষণ পরপর পানি পান করে দেহে পানির ঘাটতি পূরণ করতে পারে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের রোদে ছাতা ব্যবহার করা ও একটানা দীর্ঘ সময় রোদে না-থাকার বিষয়ে উত্সাহিত করা। রোদে ছাতা ব্যবহার সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দেবে।
লেখক: লায়লা নুর সহকারী শিক্ষক, কুমিল্লা