তীব্র তাপদাহের কারণে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে, এ সময় স্কুলে সময়মতো উপস্থিত হয়ে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবই পড়তে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
গতকাল সোমবার সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। এদিন রাতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে ইয়াসমিন করিমী বিষয়টি দৈনিক আমাদের বার্তাকে নিশ্চিত করেছেন।
আদেশে বলা হয়, ক্লাস বন্ধ থাকলেও নির্ধারিত সময়ে স্কুলে অবস্থান করে পাঠ্যবই, টিচার্স গাইড পড়াসহ প্রথম প্রান্তিকের উত্তরপত্র মূল্যায়ন, পাঠ উপকরণ তৈরি ও সংগ্রহ এবং মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট তৈরি করতে হবে জেলার শিক্ষকদের।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, ‘গরমের কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ থাকলেও স্কুল ছুটি হয়নি। শিক্ষকরা এ সময় ক্লাসে বসে কী কী করতে পারেন সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষকদের পাঠ্যবই পড়ার নির্দেশ দিয়েছি যাতে তারা বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারেন এবং ক্লাসে ভালোভাবে পাঠদান করতে পারেন। পাঠ্যবই সম্পর্কে ভালো জানলে শিক্ষার্থীদেরও ভালোভাবে বোঝাতে পারবেন। আর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন, পাঠ উপকরণ তৈরি ও মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে।’
ওই আদেশে বৃহস্পতিবারপর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও নির্ধারিত সময়ে শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে অবস্থান করে পাঁচটি কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-পাঠ্যবই পড়া ছাড়াও টিচার্স গাইড ডাউনলোড করে পড়া এবং সংরক্ষণ করা, প্রথম প্রান্তিকের উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ফল প্রস্তুত করা, পাঠ সংশ্লিষ্ট উপকরণ প্রস্তুত ও সংগ্রহ করা এবং মাল্টিমিডিয়া পাঠদানের কনটেন্ট তৈরি করা। এ বিষয়ে সব শিক্ষককে নির্দেশনা দেয়া ও পরিদর্শনের সময় পর্যবেক্ষণ করতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বলেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা মোহা. আবদুল গনি ওই আদেশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, ‘শিক্ষকরা যেনো সঠিকভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারেন তাই তাদের সঙ্গে পাঠ্যবইয়ের সম্পর্ক জ্ঞান থাকা জরুরি।’
চলতি বছরের শুরুতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ নিজের বিষয়ে পাঠদানে আত্মবিশ্বাসী নন। তারা নিজেদের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান নিয়েও সন্তুষ্ট নন। তারা মূলত এসএসসি বা এইচএসসি পাস সনদ নিয়ে শিক্ষকতা করছেন। তবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী শিক্ষকদের অধিকাংশ নিজেদের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানে সন্তুষ্ট।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।