দৈনিক শিক্ষাডটকম, দোহার: অনার্স প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণে নির্ধারিত টাকার চেয়ে কিছু টাকা কম দিতে চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে অধ্যক্ষ অপমান করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষার্থীর অভিযোগ, অধ্যক্ষ তাঁকে বলেছেন, “টাকা না থাকলে লেখাপড়া করার কী দরকার, ছেড়ে দাও। গরিব মানুষের লেখাপড়ার দরকার কি?
জানা যায়, দোহার-নবাবগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন কলেজ অনার্স ২০২২-২৩ বাংলা বিভাগের ফরম পূরণের জন্য দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা করে নিচ্ছে। কিন্তু দোহারের জয়পাড়া কলেজ চার হাজার টাকা নিয়ে ফরম পূরণ করছে। এর মধ্যে কোনো শিক্ষার্থী অর্থিক সমস্যার কারণে কিছু টাকা কমাতে গেলে অধ্যক্ষ তাদের বিভিন্নভাবে অপমান করছেন।
গতকাল বুধবার সকালে কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিলা রিফা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান স্যারের অফিস কক্ষে গিয়ে বলি, স্যার, আমার বর্তমান আর্থিক অবস্থাটা বেশি ভালো নয়। আমাকে তিন হাজার টাকায় ফরম পূরণের সুযোগ করে দেন। তখন অধ্যক্ষ আমাকে বলেন, “টাকা না থাকলে লেখাপড়া করার কী দরকার, ছেড়ে দাও। তোমার জায়গায় অন্য একজন শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হলে তাকে পুরো চার হাজার টাকা দিয়েই ফরম পূরণ করতে হতো। তাই তোমাকেও সেটাই করতে হবে। অন্যথায় লেখাপড়া ছেড়ে দাও। গরিব মানুষের আবার লেখাপড়া করার দরকার কী?”’
তবে এ বিষয়ে জয়পাড়া কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমি ওই শিক্ষার্থীকে কোনো রকম অপমান করিনি। আরও বলেছি, কলেজের সভাপতিকে বলে এক হাজার টাকা কমিয়ে দেব।’
এ বিষয়ে জয়পাড়া কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইভু চৌধুরী বলেন, ‘কলেজের বিভিন্ন খরচ থাকে, তাই কিছু টাকা বাড়তি নিতেই হয়।’