গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাব্বী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
নিহত মেহেদীর গ্ৰামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কলেজ পাড়ায়। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ বাড়ির কক্ষে মেহেদীকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
জানা যায়, গত রবিবার রাতে মেহেদী দরজা বন্ধ করে নিজ কক্ষে ঘুমাতে যান। সোমবার সকালে পরিবারে সদস্যরা তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখেন। দুপুরে তার কক্ষের দরজা বন্ধ দেখে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হলে দরজা ভেঙে কক্ষে ঢুকে রাব্বিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তারা। এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে রাব্বীকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ছেলেটি আমার নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হওয়ার কারণে কাছ থেকে চিনি। সে খুব অমায়িক ছেলে ছিল। আমি যতোটুকু জানি তার প্রেম ঘটিত এবং অর্থনৈতিক কোনো সমস্যা ছিলো না। এক বছর আগে তার বাবা মারা যান। এজন্য তার মন খারাপ ছিলো। খবর পাওয়া মাত্রই আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া উদ্দেশে রওনা হয়েছি।