দৈনিকশিক্ষাডটকম, ঢাবি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় নারী, শিশু, স্কুল, হসপিটাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে জঘন্য ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের এই বর্বরোচিত হামলা বিশ্বে শান্তিকামী সাধারণ মানুষের কাছে ঘৃণার ও যোগ্য নয়। গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।গাজার জনমানবের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে গিয়েছে। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা হওয়ার পরেও তাদের এই ধ্বংসলীলা থামেনি। কিন্তু এখানে শুধু তারা নয় তাদের দোসর হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ধ্বংসযজ্ঞের মূল রসদযোগান দিচ্ছে। গতকাল শনিবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ইসরাইল ফিলিস্তিনের চলমান যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়েছে। এখানে পরিষ্কার যে যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষভাবে ইসরাইলের পাশে রয়েছে।
রোববার ঢাবি ক্যাম্পাসে অপরাজের বাংলার পাদদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন উপাচার্য। ফিলিস্তিনে নারী, শিশু, স্কুল, হাসপাতাল ও আশ্রয়কেন্দ্রসহ সাধারণ জনগণের ওপর বর্বরোচিত ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেছিলো শিক্ষক সমিতি। ঢাবি উপাচার্য ছাড়াও মানববন্ধনে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাসহ সমিতির অন্যান্য সদস্যরা।
উপাচার্য আরো বলেন, ফিলিস্তিনে নারী, শিশুসহ সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্ট সহ্যসীমা ছাড়িয়ে গেছে। তারা আশ্রয় কেন্দ্রেও নিরাপদ না। গাজার বিখ্যাত কবি ও গাজা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছে। যিনি তার কবিতার মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে ফিলিস্তিনের দুর্দশার জানান দিতেন। সর্বোপরি ফিলিস্তিনে ইসরাইল কর্তৃক যে দূরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা পুরোপুরি মানবাধিকার লঙ্ঘন। এই প্রতিবাদী মানববন্ধন থেকে অনতিবিলম্বে ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বিরতির পক্ষে সংহতি জানাচ্ছি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংগঠনের কাছে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন সংঘাতের পরিসমাপ্তির দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় যে ধ্বংসযোগ্য চলছে সেটা পুরোপুরি মানবতার বিরুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের মানবতার কথা শেখায়।
কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যায় বিশ্বে যেখানে মানবতা লঙ্ঘন করা হচ্ছে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদপুষ্টতা রয়েছে। আমরা এই প্রতিবাদী মানববন্ধন থেকে ইসরায়েলের বর্বর চাইতে বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানাই। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে জাতিসংঘসহ বিশ্ব মোড়লদের কাছে আমাদের দাবি নির্দিষ্ট ভূখণ্ড দিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে এবং অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিতে হবে।