আসন্ন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে না গিয়ে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকরা। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভা শেষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এ সিদ্ধান্তে শেষ পর্যন্ত অটল থাকতে পারবে কি-না এনিয়ে শঙ্কা অনেকের।
সভা সূত্র, নানান অব্যবস্থাপনা ও সংকটের বিষয়গুলো আমলে নিয়ে সর্বসম্মতভাবে গুচ্ছ প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষক সমিতি। বুধবার সিদ্ধান্তের বিষয়টি চিঠি আকারে ভিসিকে জানানো হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফের গুচ্ছে অংশ নিলে শিক্ষকরা ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন। এছাড়া আগামী তিনদিনের মধ্যে একক পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাবে শিক্ষক সমিতি। এদিকে আগামী ২৯শে জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, ‘ইবি শিক্ষক সমিতি গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা না নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আগামী ৩ দিনের মধ্যে এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম শুরুর করার বিষয়ে একমত হয়েছে। বুধবার ভিসিকে বিষয়টি চিঠি আকারে জানানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় তবে শিক্ষকরা ভর্তি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে না।’
গতবছরের মত সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি আমাদের আচার্য। যেহেতু তার সুপ্রিম পাওয়ার তাই এমন কিছু হলে আমাদের আবার ভাবতে হবে। আমাদের মতের বিপক্ষ কোনো কিছু হলে পরবর্তী কার্যক্রমের বিষয়ে কার্যনির্বাহী কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে গত ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে নানা ভোগান্তির প্রেক্ষিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহল নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। পরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি প্রথম দিকে গুচ্ছের বিপক্ষে অনড় অবস্থান নিলেও পরবর্তীতে শর্তসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। এদিকে ২০২২-২৩ শিক্ষবর্ষে ইবির সিন্ডিকেট সভায় নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচিও প্রকাশ করা হয়। তবে পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতির আদেশের পর ফের গুচ্ছে অংশ নিয়েছিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।