গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা বিসর্জন হচ্ছে বলে মনে করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতি। এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমার চেয়ে আরও বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাই তারা নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম চালানোর দাবি জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ও গুণগত মান ফিরিয়ে আনতে এ দাবি বলেও জানিয়েছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও গুচ্ছ ভর্তি কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হকের কাছে লিখিতভাবে এ দাবি উপস্থাপন করেছে সমিতি।
শিক্ষক প্রতিনিধিরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সম্পূর্ণরূপে নতুন ও অভিনব এ পদ্ধতিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমন্বিতভাবে পরীক্ষা নিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা বিসর্জন, বিলম্বে পরীক্ষা গ্রহণের কারণে সেশনজট সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমার পরিবর্তে আরও বৃদ্ধি, আর্থিক স্বচ্ছতার অভাব, অপেক্ষাকৃত দুর্বল মেধার শিক্ষার্থী প্রাপ্তিসহ বহুবিধ সমস্যার কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামও ক্ষুণ্ন হয়েছে। এই মুহুর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনতে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ফিরতে হবে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ার অনেক ত্রুটি ছিলো, কিন্তু সেগুলো সংশোধন করা হয়নি। এর আগে আমাদের শর্তগুলোও মানা হয়নি। গুচ্ছে কোনো লাভ হচ্ছে না। বরং, বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
এর আগে, গত বছর তৃতীয় সাধারণ সভায় গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার দাবি জানায় শিক্ষক সমিতি। এ সময় শিক্ষকরা উপাচার্যের কাছে দশ দফা দাবি উত্থাপন করেন। এ দাবি না মেনেই শুরু হয় এবারের ভর্তি পরীক্ষা।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) বিভিন্ন অনুষদে মোট ১৯২টি আসন ফাঁকা রেখেই ক্লাস শুরু হয়েছে গতকাল রোববার। নয়টি মেরিট লিস্ট প্রকাশ করেও কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিজ্ঞান অনুষদে ১৬৯টি, কলা অনুষদে ২১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ২টি আসন ফাঁকা রেখে নবম মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা হয়। এসব অনুষদভুক্ত ডিনরা জানান প্রতিনিয়ত ভর্তি বাতিল করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাওয়ায় একের পর এক মেরিট লিস্ট প্রকাশ করেও আসন পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।