দৈনিক শিক্ষাডটকম, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলায় আহত হওয়ার চার দিন পর ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (১৬) রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক ।
সজীব চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে। তিনি চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।
এদিকে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা চন্দ্রগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ করে সড়ক অবরোধ
গত শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া এলাকার যদির পুকুরপাড়ে অতর্কিত হামলায় ছাত্রলীগের নেতা এম সজীবসহ চারজন আহত হন। সজীব গুলিবিদ্ধ ও অন্যদের কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর অবস্থায় সজীবকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর সোমবার রাতে সজীবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়।
ওই ঘটনায় পুলিশ তাজুল ইসলাম ভুঁইয়াসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাজুল চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের আমানি লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাকা মিয়ার ছেলে। তিনি মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি। গতকাল মঙ্গলবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মারা গেছেন। গুলি ও হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।