জামালপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে শতাধিক মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। আর বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে জমি। এতে একটি গ্রামই বিলুপ্ত করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এবং তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
এমন অবস্থায় সরকার পতনের পর জমি ফেরত পেতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন ভুক্তভোগীরা।
২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের জামালপুর শহরের নয়াপাড়া পাঁচরাস্তা মোড় এলাকায় গড়ে উঠে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় নাওভাঙ্গাচর এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের উদ্যোগ নেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা জামালপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজম।
ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্যে নাওভাঙ্গাচর গ্রামটির প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
গ্রামটিতে প্রায় ৪০ বছর ধরে ১২০০ মানুষের বসবাস। কিন্তু আওয়ামী লীগের নির্যাতনের মুখে বাধ্য হয়ে বাড়ি-জমি ছেড়ে চলে যেতে হয় প্রায় সবাইকে। এতে ওই গ্রামই এখন বিলুপ্ত হওয়ার পথে।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর নাওভাঙ্গাচরের জমির মালিকরা তাদের দখলকৃত ভূমি ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মির্জা আজমের নির্দেশে জামালপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ওরফে ছানুর তত্ত্বাবধানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মারধর, মিথ্যা মামলায় হয়রানি এমনকি অত্যাচার-নির্যাতন করে জমিগুলো দখল করে।
যারা জমি ছাড়েনি, তাদের ওপর করা হয়েছে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। এমনকি পুলিশের মাধ্যমে ব্যাপক হয়রানি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শফিউর রহমান বলছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে জমি দখলের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।