কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গ্রেফতার হয়ে ১৬ দিনে ১৩৭ শিশু-কিশোর টঙ্গী শিশু উন্নয়ন (বালক) কেন্দ্রে এসেছে। ২০০ বন্দির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই কেন্দ্রে এখন আছে ৬১০ জন শিশু-কিশোর। বৃহস্পতিবার টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সমাজ সেবা অধিদপ্তরের পরিচালনায় টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ১৫ জুলাই থেকে ১ আগস্ট বেলা ১১টা পর্যন্ত ১৩৭ জন শিশু-কিশোর বন্দি এখানে এসেছে। ১৪ জুলাই বন্দির সংখ্যা ছিল ৫৭৩ জন। বর্তমানে এই সংখ্যা ৬১০ জন। দেশের বিভিন্ন আদালতের আদেশে বিভিন্ন মামলায় এরা বন্দি।
৫ দশমিক ৩৪ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশে শিশু-কিশোর অপরাধীদের অন্যতম বন্দিশালা টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালক)। ধারণক্ষমতার চেয়ে চার গুণ বেশি থাকা এই বন্দিশালায় শিশু ও কিশোরদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ডাক্তার ও নার্স নেই।
একটি পাঁচতলা ও একটি দোতলা ভবনে থাকে শিশু-কিশোর বন্দিরা। এই বন্দিশালার ধারণক্ষমতা ২০০ জন। এখানে আছে ৬১০ জন বন্দি। তবে অনুমোদন করা আছে ৩০০ বন্দি থাকার।
সমাজসেবা অধিদপ্তর গাজীপুরের উপ-পরিচালক আনোয়ারুল করিম বলেন, এখানে শিশু বন্দিদের আসা-যাওয়া নিয়মিত ঘটনা। আদালতের নির্দেশেই শিশুরা এসে থাকে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৬১০ জন বন্দি রয়েছে।
বন্দি শিশুদের মানসিক বিকাশে ও সংশোধনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা আছে এই কেন্দ্রে। শিশু-কিশোরদের নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
প্রশিক্ষণ ও মানসিক বিকাশে রয়েছে খেলাধুলার ব্যবস্থা। প্রতিদিন দুপুর আড়াইটা থেকে ৩০ মিনিট করে প্রতি ফ্লোরের বন্দিদের পালাক্রমে মাঠে খেলতে দেয়া হয়। এছাড়া ফ্লোরের ভেতরে দাবা, কেরাম ও লুডু খেলার ব্যবস্থা আছে।
প্রশিক্ষণের মধ্যে রয়েছে সেলাই, কম্পিউটার, ইলেকট্রনিকসের কাজ, অটোমোবাইলসহ নানা ধরনের প্রশিক্ষণ।