দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: দৈনিক কালের কণ্ঠের শিক্ষা রিপোর্টার শরীফুল আলম সুমন নিয়েছেন ৮ লাখ। দৈনিক ইত্তেফাকের শিক্ষা সাংবাদিক নিজামুল হক ৬ লাখ, দৈনিক সমকালের শিক্ষা সাংবাদিক সাব্বির নেওয়াজ ৫ লাখ, ডিবিসির মাহমুদ সোহেল সাড়ে ৪ লাখ, এশিয়ান টিভির জাকির হোসেন পাটোয়ারি ২ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
কারিগরির সনদ জালিয়াতি ও অবৈধ সনদ বাণিজ্যের খবর চাপা দিতে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামানের কাছ থেকে তারা এই ঘুষ আদায় করেন। সদ্য প্রকাশ হওয়া তাকে জেরার একটি ভিডিয়োতে এমনটাই বলেন শামসুজ্জামান।
এছাড়াও অন্যান্য সাংবাদিকদের মধ্যে হাসমত বিভিন্ন সময়ে মোট ২ লাখ টাকা নিয়েছেন। বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু জাফর সূর্য ঘুষ নিয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি টাকা। রুবেল নামে আর এক সাংবাদিক বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞাপন দেয়ার কথা বলেও টাকা নিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন কারিগরি বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট।
প্রসঙ্গত, জাল সার্টিফিকেট প্রিন্ট ও বিক্রির অভিযোগে গত ৩১ মার্চ রাতে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামানকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের সই করা অফিস আদেশে তাকে সাময়িকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
তাকে গ্রেফতারের পর মহানগর পুলিশ জানায়, বিপুল সংখ্যক অবৈধ সার্টিফিকেট ও মার্কশিটসহ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রধান কম্পিউটার বিশেষজ্ঞকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজধানীর পীরের বাগে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রধান কম্পিউটার বিশেষজ্ঞের বাসায় অবৈধ সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে।
তারপর অবৈধ সনদ বিক্রির সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা তার তদন্ত শুরু হয়। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী তখন বলেন, এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত আছে বলে আমাদের ধারণা। জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
অবশেষে লাগাতার জেরার মুখে ঘুষ নেয়া সাংবাদিকদের নাম প্রকাশ করলেন শামসুজ্জামান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দৈনিক কালেরকন্ঠের সাংবাদিক শরীফুল আলম সুমন দৈ্নিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘এমন অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি সম্প্রতি কালেরকন্ঠে যোগদান করেছি, তার আগে যখন দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায় ছিলাম তখন কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলাম।
দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক নিজামুল হক দাবি করেন, সাংবাদিকের শত্রু থাকে অনেক, তাই কেউ হয়তো শত্রুতা করছে।
২১ এপ্রিল দুপুর থেকে দৈনিক সমকালের সাব্বির নেওয়াজের ফোন বন্ধ রয়েছে।