ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম নগরীর দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ওমরগনি এমইএস কলেজ ও ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। শহরের জাকির হোসেন রোডে এই কলেজ দুটির অবস্থান পাশাপাশি।
দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা বলেছেন, ফুটবল খেলা নিয়ে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো, কিছুটা উত্তেজনাও তৈরি হয়। শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে সেসব মীমাংসা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকালে এমইএস কলেজ মাঠে ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের কলেজ শাখার ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা ছিলো।
খেলা দেখার জন্য মাঠের চারদিকের সড়কে দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় ম্যাচ শুরুর আগে, মাঠের ভেতরে এমইএস কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী নিজেদের মধ্যে ফুটবল খেলছিলেন।
খেলার একপর্যায়ে মাঠ থেকে বল গিয়ে কাছে দাঁড়িয়ে থাকা ইস্পাহানি কলেজের এক ছাত্রীর গায়ে লাগে। এরপর এমইএস কলেজের এক ছাত্র এসে এই ছাত্রীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলেও, মেয়েটি তখন ওই ছেলেটির গালে চড় বসিয়ে দেয়।
এ নিয়ে দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রথমে কথা কাটাকাটি এবং পরে হাতাহাতিতে জড়ায়।
একাধিক শিক্ষক বলেন, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হওয়ার পরপর ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকরা এসে তাদের শিক্ষার্থীদের কলেজে ভেতর নিয়ে গিয়ে ক্যাম্পাসের মূল গেট আটকে দেন।
ওই সময় এমইএস কলেজের উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ইস্পহানি কলেজের গেটের সিকিউরিটি বক্সের কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করেন। এমইএস কলেজের অধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষকেরা এসে তাদের কলেজের শিক্ষার্থীদের নিজেদের কলেজে নিয়ে গিয়ে গেইট আটকে দেয়।
ইস্পাহানি শিক্ষা পরিবারের পরিচালক সাবেক সেনা কর্মকর্তা মঈনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঘটনা শুনে আমাদের দুই কলেজের অধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষকরা গিয়ে পরিবেশ সামলেছেন। ও সেনা সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসেছেন।
এমইএস কলেজের অধ্যক্ষ আ ন ম সরোয়ার আলম বলেন, ফুটবল খেলার ছোট একটা ঘটনা নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। একটু উত্তেজনা ছিলো আমরা সমাধান করেছি।