চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিবাদে লিপ্ত গ্রুপ দুটি হলো চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) এবং সিক্সটি নাইন। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। চবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের র্যাগ ডে উদযাপনে সিএফসি এবং সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতাকর্মীদের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে জিরো পয়েন্ট থেকে সোহরাওয়ার্দী হলের রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। সিএফসি গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আমানত হল এবং সিক্সটি নাইন গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শাহজালাল হল। উভয়পক্ষ নিজ নিজ হলে অবস্থান নিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এসময় অনেককেই দেশীয় অস্ত্রসহ মহড়া দিতে দেখা যায়।
পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বিবাদে লিপ্ত সিএফসি গ্রুপ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। যার নেতৃত্ব দেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মির্জা খবির সাদাফ। অন্যদিকে, সিক্সটি নাইন গ্রুপ নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিতি। যার নেতৃত্ব দেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু।
শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং সিএফসি গ্রুপের নেতা মির্জা খবির সাদাফ বলেন, আমাদের ছেলেরা হলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় সিক্সটি নাইনের কিছু কর্মী এসে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এতে কথা-কাটাকাটির সৃষ্টি হয় যা সংঘর্ষে রূপ নেয়। আমাদের তিন কর্মী আহত হয়েছেন।
শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা সাইদুল ইসলাম সায়েদ বলেন, দেড় থেকে দুই মাস আগে সিএফসি গ্রুপের সঙ্গে আমাদের একটা সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনার জেরে আজকে হঠাৎ তাদের উশৃঙ্খল কিছু ছেলে এসে আমাদের কর্মীদের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করে। তবে উভয়পক্ষের সিনিয়ররা বসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, বিকেলে কথাকাটাকাটিকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। পুলিশের সহায়তায় মারামারি বন্ধ করে উভয় গ্রুপকে নিজ নিজ হলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।