চবিতে ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ দুই পক্ষের অস্ত্রের মহড়া, ককটেল বিস্ফোরণ - দৈনিকশিক্ষা

চবিতে ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ দুই পক্ষের অস্ত্রের মহড়া, ককটেল বিস্ফোরণ

চবি প্রতিনিধি |

আধিপত্য বিস্তার ও হল দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক দুই পক্ষের অনুসারীরা। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সংঘটিত ঘটনার জন্য দুই পক্ষই একে-অপরকে দায়ি করেছেন। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলমান ঘটনায় অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত ও এ এফ রহমান হলের প্রায় ৫০টি কক্ষ ভাংচুর করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

চবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ভিএক্স গ্রুপের নেতা মারুফ ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যদিও বগিভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ। তবে এখনো সংগঠনের উপগ্রুপগুলো সক্রিয় রয়েছে। পুরো ক্যাম্পাসে আজ পর্যন্ত অন্য পক্ষের চিকা মুছে ফেলছে এমন নজির নেই। কিন্তু গতকাল এ এফ রহমান হলে আমরা কিছু জায়গায় চিকা মারার পর বিজয়ের অনুসারীরা সেগুলো মুছে দেয়, সেখান থেকেই মূলত দুই পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে রাতে মিটিংয়ে বসলে তারা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তবে পুরো সময়টা আমরা শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি এবং প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছি। কিন্তু বিজয় গ্রুপের অনুসারীদের একাধিক অতর্কিত হামলায় আমাদের পক্ষের ১৫ জনের বেশি আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হওয়ায় কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছে এর সাক্ষী গণমাধ্যম কর্মীরাই। চবি ছাত্রলীগের উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক ও বিজয় গ্রুপের নেতা নয়ন চন্দ্র মোদক বলেন, ৪ ডিসেম্বর (আজ) প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে আসবেন, সে উপলক্ষে নেত্রীকে স্বাগতম জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এর মধ্যে তারা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ছাত্রলীগের দুুই পক্ষের মধ্যে চিকা মারাকে কেন্দ্র করে চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হাটহাজারী থানা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসন ছিল।

আমরা যখন বিষয়টি সমাধানের জন্য দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম, ঠিক তখনই একটি পক্ষ হলের পেছনের গেট ভেঙে বিভিন্ন কক্ষ ভাংচুর করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে যারা জড়িত, একটি তদন্ত কমিটি করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি হলের দেয়ালে থাকা সব গ্রুপের চিকা মুছে দেব। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে এ এফ রহমান হলের অর্ধশতাধিক রুম ভাংচুর করে বিজয়ের নেতা-কর্মীরা। এ সময় এক শিক্ষককে মারধর করতে তেড়ে আসেন বিজয়ের এক কর্মী। এ ছাড়া কর্মরত সাংবাদিকদেরও হত্যার হুমকি দিয়েছে গ্রুপটি। ঘটনাস্থলে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায় ছাত্রলীগ অনুসারীদের।

যেসব চাকরির পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha যেসব চাকরির পরীক্ষা স্থগিত কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে সরকার - dainik shiksha কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে সরকার উত্তরায় গুলিতে ২ শিক্ষার্থী নিহত - dainik shiksha উত্তরায় গুলিতে ২ শিক্ষার্থী নিহত ছাত্রলীগ আক্রমণ করেনি, গণমাধ্যমে ভুল শিরোনাম হয়েছে - dainik shiksha ছাত্রলীগ আক্রমণ করেনি, গণমাধ্যমে ভুল শিরোনাম হয়েছে সহিংসতার দায় নেবে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন - dainik shiksha সহিংসতার দায় নেবে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জবিতে আজীবনের জন্য ছাত্র রাজনীতি বন্ধের আশ্বাস প্রশাসনের - dainik shiksha জবিতে আজীবনের জন্য ছাত্র রাজনীতি বন্ধের আশ্বাস প্রশাসনের মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের কারণ জানালেন পলক - dainik shiksha মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের কারণ জানালেন পলক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.022131204605103