চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সভাপতি প্রার্থী সাদীদ চৌধুরী আসফির নেতৃত্বাধীন মিছিল থেকে প্রায় অর্ধশত বহিরাগতকে আটক করেছে চবি ছাত্রলীগ।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে তাদের আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসনের হাতে সোপর্দ করা হয়।
এরপর বিকেল সোয়া ৩টার দিকে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয় প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সভাপতি প্রার্থী সাদীদ চৌধুরী আসফি সাবেক চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ. জ. ম. নাসিরের ভাগ্নে। এ ছাড়া সাবেক মেয়র নাসিরের নিয়ন্ত্রণাধীন ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) অনুসারী। এদিকে আটককারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও নাসিরের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন পক্ষের অনুসারী বলে জানা গেছে।
শাখা ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক, একাকার গ্রুপের নেতা জিয়াউদ্দিন রোহান বলেন, ‘আসফি ভাই ভালো একজন ছাত্রলীগ নেতা। তার নামে কোনো বিতর্কও নেই। সে ১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সভাপতি প্রার্থী হিসেবে যোগ্য।’
এ বিষয়ে সভাপতি প্রার্থী সাদীদ চৌধুরী আসফি বলেন, ‘জামায়াত-বিএনপির হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে আমার নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে একটি মিছিল হয়েছে। এখানে শাখা চবি ছাত্রলীগ কর্মীদের পাশাপাশি শহর থেকেও আমার কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী মিছিলে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি না নেওয়াটা আমার ভুল হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এটার জন্য আমি প্রশাসনের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী এবং ভবিষ্যতে এইরকম কোনো কাজ আমার দ্বারা হবে না বলে মুচলেকাও দিয়েছি। মুচলেকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শহর থেকে আসা আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের ছেড়ে দিয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘দুপুরে প্রায় দুই শতাধিক কর্মী নিয়ে জিরো পয়েন্ট হয়ে শহীদ মিনার পর্যন্ত মিছিল করে আসফি। এরই মধ্যে আমরা খবর পাই, মিছিল থেকে বেশ কয়েকজন বহিরাগতকে আটক করেছে ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসন প্রায় ৪০ জনের মতো পরিচয় শনাক্ত করে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘বেশ কয়েকজন বহিরাগত ছেলে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আসফির নেতৃত্বে জামায়াত-বিএনপির অবরোধ কর্মসূচির বিরুদ্ধে মিছিলে অংশ নেয়। এ সময় অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদেরকে আটক করে আমাদের হাতে সোপর্দ করে। পরে তারা ক্ষমা চেয়ে একটি মুচলেকা দিয়েছে যে, ভবিষ্যতে আর কখনো এরকম কাজ করবে না। যার কারণে, তাদের পরিচয় শনাক্ত করে ছেড়ে দেয়া হয়।’