চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ। সংঘর্ষে জড়ানো গ্রুপ দুটি হলো চবি ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও বিজয়।
শুক্রবার রাতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে স্বাগতম জানানোর সময় এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। উক্ত ঘটনায় গত দুইদিনে তিনবার সংঘর্ষে জড়িয়েছ গ্রুপ দুটি।
রোববার দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুর রব হল থেকে সংঘর্ষে জড়ায় গ্রুপ দুটি। উক্ত হল থেকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে পর্যন্ত প্রায় ৩০ মিনিট চলে সংঘর্ষ। এসময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে একে অপরকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেইট এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় এই দুই গ্রুপ। সংঘর্ষের সময় চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও তার অনুসারীদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয় বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার বিকালে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীর নওফেল হাটহাজারীর একটি মন্দিরের অনুষ্ঠানে আসেন।
এ সময় তাকে স্বাগতম জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেট এলাকায় অবস্থান করে তার অনুসারী দুটি গ্রুপ বিজয় ও সিএফসির নেতাকর্মীরা। সিএফসি গ্রুপের নেতা হিসেবে সভাপতি রেজাউল হক রুবেলও এসময় তার অনুসারীদের নিয়ে সেখানে অবস্থান করে। এসময় উভয় পক্ষের মাঝে তর্কাতর্কি জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে সভাপতি ও তার অনুসারীদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয় বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা আলাওল এবং এ এফ রহমান থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে আব্দুর রব হলে অবস্থান নেন । পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনার পর গতকাল শনিবার বিকেল থেকে সভাপতি রেজাউল হকের অনুসারীরা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছের অনুসারী বিভিন্ন ধারাল অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া দিয়ে আসছে। রোববার দিনব্যাপী উত্তেজনার পর আজ দুপুরে সংঘর্ষে জড়ান তারা।
সংঘর্ষের বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিজয় গ্রুপের নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, 'আজকে সভাপতি রুবেলের অনুসারীরা আবার আমাদের এক জুনিয়রকে মারধর করেছে। আমরা তা প্রতিহত করেছি।'
চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, 'যারা সংঘর্ষে জড়িয়েছ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নাজিমুল মুরাদ বলেন, 'ঘটনার সময় আমরা সংঘর্ষে জড়ানো শিক্ষার্থীদের ধরার চেষ্টা করেছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সার্বিক বিষয়ে আলোচনা চলছে।'