দৈনিক শিক্ষাডটকম, চবি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সাবেক শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের একটি ডাটাবেজ তৈরি করতে এ উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। একইসঙ্গে এ ডাটাবেস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিয়ের জন্যেও ব্যবহৃত হবে।
বুধবারের (১০ এপ্রিল) মধ্যে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট ফরমে তথ্য জমা দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এতে গত তিন বছরে (২০২০-২৪) মাস্টার্স/ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অনার্স বা মাস্টার্স/এমবিএ/এমবিবিএস সম্পন্ন করেছে এমন অন্তত ৪ হাজার গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীর বর্তমান অবস্থা জানা প্রয়োজন।
‘‘আপনি বর্তমানে কোথায় আছেন এবং কি করছেন তা জানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্র্যাক রেকর্ডের জন্য যেমন দরকার, তেমনি কিউএস র্যাংকিংয়ের জন্যও প্রয়োজন। চলতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে নিম্নের লিঙ্কে গিয়ে ফরমটি পুরনের অনুরোধ রইল। https://cutt.ly/2w4AgqPA
এতে আরও বলা হয়, এই জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য গোপনীয়তা বজায় রেখে শুধুমাত্র উপরোল্লিখিত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে। আপাতত কিউএস কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী বিগত তিন বছরের নিয়োগযোগ্য গ্র্যাজুয়েটদের ডেটা চাওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেটাবেসের জন্য পর্যায়ক্রমে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের তথ্য চাওয়া হবে।
২০২৩ সালের হিসাব অনুযাযী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৭ হাজার ৫৫০ শিক্ষার্থী এবং ৯০৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা পাঁচটি কলেজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়েছে।
কলেজগুলো হলো- চট্টগ্রাম কলেজ, হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি কলেজ, স্যার আশুতোষ সরকারি (বোয়ালখালী), সরকারি কমার্স কলেজ ও সাতকানিয়া সরকারি কলেজ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম বলেন, বিগত তিন বছরে আমাদের যে সকল শিক্ষার্থীরা পাস করে বের হয়েছেন, তাদের অবস্থান জানতে এই উদ্যোগ। মূলত আমাদের থেকে যে প্রোডাক্টগুলো বের হয়েছে, তাদের মার্কেটে কেমন চাহিদা আছে, তারা কীভাবে পারফর্ম করছেন— এই উপাত্ত তা নির্দেশ করবে। র্যাংকিংয়ের জন্য অনেকগুলো প্যারামিটার আছে, তারমধ্য এটি একটি।