দৈনিক শিক্ষাডটকম, চবি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী।
বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ১৯৭৩ এর ১৪ (১) ধারা অনুসারে অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) পদে নিয়োগ করা হলো।
এতে আরও জানানো হয়, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ৪ বছর। তবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তিনি নিয়মিত চাকরির বয়সপূর্তিতে মূল পদে প্রত্যাবর্তনপূর্বক অবসর গ্রহণ শেষে উক্ত মেয়াদের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করবেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
এ পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতা পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন এবং সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি ও আইন দ্বারা নির্ধারিত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) বেনু কুমার দে-এর পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসছেন। তাদের পদত্যাগের এক দফা দাবি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর থেকে আন্দোলন করছেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। চলমান ওই আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য।
দুর্নীতির অভিযোগ আনা প্রশাসনের সঙ্গে কীভাবে কাজ করবেন জানতে চাইলে নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য ড. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৯৭৩ অধ্যাদেশ অনুযায়ী আইনের শাসন যথাযথভাবে প্রতিফলন করতে পারেনি। আমার যে অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সবাইকে নিয়ে আমি চেষ্টা করব আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে। প্রধানমন্ত্রী যে আস্থা রেখে আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন সেই আস্থা থেকে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব।
অধ্যাপক সেকান্দর চৌধুরী ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বেতাগীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে বিএ অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৮৭ সাল থেকে একই বিভাগে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।