দুইদিন বন্ধ থাকার পরে আজ রোববারও চলছে না চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের প্রধান যাতায়াত মাধ্যম শাটল ট্রেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে শাটল ট্রেনের ছাদে বসে যাতায়াতকালে গাছের সঙ্গে ধাক্কায় ১৭ শিক্ষার্থী আহত হন। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও লোকমাস্টারদের (ট্রেনের চালক) মারধর করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন লোকোমাস্টাররা।
তবে সকালে ট্রেন চালু না হলেও বিকেল ৪টা থেকে চালানো হবে বলে উভয় পক্ষের বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার জানিয়েছেন।
এদিকে শুক্র ও শনিবার ট্রেন না চলায় রোববার ট্রেন চলাচল নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। ফলে শাটল চলাচলের বিষয়ে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বৈঠকে বসে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রুটে শাটল চলাচলের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বৈঠকের পর শনিবার রাতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মো. আবিদুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে রেলওয়ের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে এখনও আলোচনা চলছে। লোকোমাস্টারসহ বিভিন্ন পক্ষের সআথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তবে গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সৌরভ সাহা জয় বলেন, ‘আগামীকাল রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে স্বাভাবিক শিডিউলেই শাটল ট্রেন চলাচল করবে।’
রোববার নগরের বটতলী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য প্রথম ট্রেনটি ছাড়ার কথা সকাল সাড়ে ৭টায়। সাড়ে ছয়টার দিকে ট্রেনের ইঞ্জিন লাগানোর কাজ শুরু হয়। তবে আজ রোববার সকাল ১০টায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত ইঞ্জিন লাগানো হয়নি। এতে হাজারো শিক্ষার্থী শাটলের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। পরে তারা বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। এদিকে পরীক্ষার কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে আটটি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে লোকোমাস্টারদের সঙ্গে আজ সকাল ৭টায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির নগরের বটতলী স্টেশনে বৈঠকে বসার কথা ছিল। কিছুটা বিলম্বে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে সকাল সোয়া ১১টার দিকে জানানো হয়, বিকেল ৪টা থেকে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ভূগোল বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মো. মনির বলেন, ‘আজ আমাদের কোর্স ভাইবা আছে। শাটলের জন্য অপেক্ষা করেও ফেরত এসেছি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া বাসে এসেছি।’
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মালিহা সুলতানা বলেন, ‘শাটলের জন্য স্টেশনে প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফিরে আসতে হয়েছে। অথচ গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে বলা হয়েছিল শাটল চলবে। এখন বাসে করে যেতে হচ্ছে।’