সামাজিক কাজে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাজ্যের সম্মানজনক ‘ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুই শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল হাসান লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের এবং নিশাত সুলতানা কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।
পথচলা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়ন ও সমতা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখার জন্য সম্মানজনক এই অ্যাওয়ার্ড পান ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল হাসান। অন্যদিকে নিশাত এই অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ‘এক টাকায় শিক্ষা’ সংগঠনের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা অর্জনে ভূমিকা রাখায়। নিশাত সংগঠনটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক।
পথচলা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল হাসান বলেন, সমাজে সমতা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। আগে বিভিন্ন সংগঠনে কাজের মাধ্যমে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এ লড়াইকে আরো জোরালো করতে আমরা ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে পথচলা ফাউন্ডেশন শুরু করি।
আব্দুল্লাহ আল হাসান বলেন, আমরা সমাজের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতেদ শুরু করি। বিশেষ করে তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি, নারীদের ক্ষমতায়ন, উদ্যোক্তা তৈরি, স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করা, স্বাস্থ্য সচেতনতাসহ নানা বিষয়ে কাজ করেছি আমরা। এরই মধ্যে পথচলা ফাউন্ডেশন ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলেন্টিয়ারিং অ্যাওয়ার্ড, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের সেরা ৩১, এবং ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে জাতিসংঘ আইভিডি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।
‘এক টাকায় শিক্ষা’র সহপ্রতিষ্ঠাতা নিশাত সুলতানা বলেন, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ার বিষয়টি ইমেইলে জানানো হয়। অ্যাওয়ার্ড মানে কাজের স্বীকৃতি। সেটি এত বড় আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মের হওয়ায় আরো ভালো লাগছে। আমাদের সংগঠনের জন্য এটি অনেক বড় একটি পাওয়া।
নিজের সংগঠন সম্পর্কে নিশাত বলেন, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে ‘এক টাকায় শিক্ষা’র যাত্রা শুরু। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা অর্জনের পথকে মসৃণ করতে কাজ করছে সংগঠনটি। সদস্যদের প্রতিদিন ১ টাকা অনুদান থেকে এই সংগঠনের মাধ্যমে নিশ্চিত হচ্ছে পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ইয়াং বাংলা আয়োজিত ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ও অর্জন করে আমাদের এই সংগঠন।
ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ব্রিটেনের সাবেজ রাজকুমারী ডায়ানার স্মরণে ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বিশ্বব্যাপী ৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী সংগঠকদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হচ্ছে। কাজের মাধ্যমে নিজ নিজ সম্প্রদায়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে, এমন ব্যক্তিদেরই এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।