চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের দুই মাস পূর্তি উপলক্ষে আহত ও শহীদদের পরিবারকে নিয়ে ’যারা জীর্ণ জাতির বুকে জাগালো আশা’ শিরোনামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় সাভারের আহত শিক্ষার্থী হাসান বলেন, ’সকালে আমার পায়ে গুলি লাগে। গণস্বাস্থ্যে নেয়া হয়। সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রক্তপাত হয়। আমার ভাইয়ের পিছন থেকে গুলি লেগে বুক ছিদ্র হয়ে বের যায়। আমার শহীদ ভাইয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
এক আহতের মা আছিয়া বেগম বলেন, ’আমি একজন গার্মেন্টস কর্মী। আমার ছেলে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ। আমার ছেলে আমাকে বলতো, মা তোমাকে আর গার্মেন্টেসে চাকরি করতে দিবো না। অথচ আজ আমার ছেলে গুলিবিদ্ধ। আমার ছেলের সুস্থতার জন্য সরকারের কাছে সাহায্যের অনুরোধ জানাই।’
আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী ইতিহাস বিভাগের শাকিল হোসেন বলেন, যারা আহত নিহত হয়েছে, রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো। তারা যেনো অযত্নে, চিকিৎসার অভাবে মারা না যায়। তাহলে আমাদের আন্দোলনের উদ্দেশ ব্যর্থ হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ’শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটেছে অথচ এখন কিছু গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টায় ব্যস্ত রয়েছে। যারা এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের কাছে আমার অনুরোধ এই আন্দোলনকে আপনারা বৃথা যেতে দিবেন না। এই আন্দোলন যদি সফল না হয় তাহলে আহত ও শহীদের পরিবার আমাদের কখনো ক্ষমা করবে না।’