গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনে ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বর্তমান ও সাবেক নেতাদের উদ্যোগে এই দোয়া মাহফিল হয়।
ড. মঈন খান বলেন, ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আকস্মিক মৃত্যুর পর যখন বিএনপির নেতৃত্ব শূন্য হয়ে পড়েছিল, তখন হাল ধরেছিলেন তার সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ’৯১ খ্রিষ্টাব্দে নির্বাচিত হয়ে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। এই সরকার হিংসাপরায়ণ হয়ে তাকে জেলে আটকে রেখেছেন। তাকে মুক্তি দিচ্ছেন না। তিনি ভীষণ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
ছাত্রদলের সকল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা সবাই আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেমে আসেন। দেশের মানুষ এখন রাস্তায় নেমে এসেছে। কারণ, এই সরকার বাকশাল পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে চায়। দেশের সবকিছু লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছে। সরকার এবার কাগজের নোট ছাপানোর নীতি নিয়েছে। তারা অর্থনীতিকে শেষ করেছে। এই সরকার পনের বছর ক্ষমতায় থেকে দেশের চারগুণ ঋণ বৃদ্ধি করেছে।
দেশের মানুষের জন্য আমাদের রাস্তায় নামতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি মানুষের কাজ করতে চায়, আওয়ামী লীগের মতো ক্ষমতার জন্য নয়। দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ সময় বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন মঈন খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী নুর মোহাম্মদ খান, বিএনপির সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক জেড খান রিয়াজ উদ্দিন নসু, সহসাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব, নির্বাহী সদস্য হামিদুর রহমান হামিদ, জবি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু সেলিম চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরতাজুল করিম বাদরু, সাবেক ছাত্রনেতা আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল খালেক হাওলাদার, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সুরুজ, সাবেক সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, সাবেক সভাপতি আব্দুস সাত্তার, মিসেস নাসিমা আক্তার রুমী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জাসাসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শামসুদ্দিন দিদার, সাবেক ছাত্রনেতা সওগাতুল ইসলাম সগির, মেজবাহ উর রহমান, মাহফুজুর রহমান, শেখ আজিজুল ইসলাম আজিজ, কামরুল ইসলাম তালুকদার, মুমিনুল ইসলাম, মহসিন আলী লিটন, কাজী ইমরান হোসেন সম্রাট, শফিকুর রহমান চুন্নু, মাহবুবুর রহমান মিশন, আশরাফুল আলম খোকন, সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, ফয়সাল আহমেদ সজল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক মুন্না, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান বিপ্লব, বর্তমান সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম, সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা প্রমুখ।