সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করাসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে শিক্ষার্থী সমাবেশ করেছে চাকরি প্রত্যাশীর। গতকাল শনিবার চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কেন্দ্রীয় কার্য নিবাহী সংসদের ব্যানারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সংগঠনটির আহ্বায়ক শরিফুল হাসান শুভের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ রাসেলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তাদের দাবির মধ্যে আরও আছে- অবসরে বয়সসীমা বৃদ্ধি, আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে বঙ্গবন্ধু ল’ কমপ্লেক্স, বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও একটি ম্যুরাল স্থাপন করা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় যুব নীতিতে ১৮-৩৫ বছর বয়সীদের যুবক বলা হলেও ৩০ বছর হলেই তাদেরকে চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের সার্টিফিকেট আজ ঝালমুড়ি খাওয়ার কাগজে পরিণত হয়েছে। ৩০ বছর পর এ সার্টিফিকেটের আর কোনো মূল্য নেই। তারা আরও বলেন, বিশ্বের ১৬২টি দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর, কোনো কোনো দেশে তা উন্মুক্ত। অথচ, আমাদের দেশে বয়সসীমা মাত্র ৩০ বছর।
চাকরিতে আবেদনের ফি কমানোর দাবি জানিয়ে তারা বলেন, চাকরির আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। প্রয়োজনে সরকারকে ভর্তুকির উদ্যোগ নিতে হবে। একই তারিখে একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস কমিশনে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর হলেও জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে আবেদনের বয়সসীমা ৩২ বছর, সরকারি নার্সিংয়ে ৩৫ বছর এবং বেসরকারি স্কুল-কলেজে ৩৫ বছর। দুঃখজনক হলেও সত্যি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলো তাদের চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা সরকারি মানদণ্ড অনুযায়ী ৩০ বছরকেই অনুসরণ করে।
এছাড়া তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, আইন অনুষদের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এর নামে বঙ্গবন্ধু ল’ কমপ্লেক্স, বঙ্গবন্ধু চেয়ার এবং একটি ম্যূরাল নির্মাণের দাবি জানান। সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা কলেজ, তিতুমীর কলেজসহ সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।